মুকুন্দপুরে মৃত দম্পতির ফ্ল্যাট থেকে দু’টি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই নোটগুলির হাতের লেখা এ বার পরীক্ষা করানো হবে। অর্থাৎ নোট দু’টি দুলাল পাল এবং রেখা পালের লেখা কি না, তা-ই খতিয়ে দেখা হবে। নোটে পুত্র এবং পুত্রবধূর দিকে আঙুল তুলেছিলেন দম্পতি। যদিও তাঁদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। সূত্রের খবর, নোট দু’টির হাতের লেখা পরীক্ষার পরে এই বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে মুকুন্দপুরের ফ্ল্যাট থেকে ৬৬ বছরের দুলাল এবং ৫৮ বছরের রেখার দেহ উদ্ধার হয়েছে। ফ্ল্যাটে খাওয়ার ঘর থেকে দুলালের ঝুলন্ত দেহ মিলেছিল। শোওয়ার ঘর থেকে রেখার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে দু’টি পৃথক সুইসাইড নোট পেয়েছে পুলিশ। তাতে পুত্র এবং পুত্রবধূকেই মৃত্যুর জন্য দায়ী করে গিয়েছেন দম্পতি। তাঁদের অভিযোগ, পুত্র সৌরভ পাল এবং পুত্রবধূ কল্যাণী রোজ তাঁদের সঙ্গে অশান্তি করতেন। এমনকি, তাঁদের মারধর করতেন বলেও অভিযোগ করেছেন। সেই নোটের হাতের লেখাই এ বার পরীক্ষা করতে চাইছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
দুলাল এবং রেখার পুত্র এবং পুত্রবধূর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন কন্যা সঙ্গীতা সেনাপতি। তিনি হাওড়ার বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, দাদা-বৌদি রোজ বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝামেলা করতেন। আত্মহত্যার প্ররোচনাও দিয়েছিলেন। প্রতিবেশীরাও পুত্র-পুত্রবধূর সঙ্গে দম্পতির ঝগড়া হওয়ার কথা জানিয়েছেন। কন্যা সঙ্গীতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও কাউকে এখনও গ্রেফতার করেনি। নোটের হাতের লেখা পরীক্ষার পরে সে বিষয়ে পদক্ষেপ করতে পারে বলে খবর।