—প্রতীকী চিত্র।
অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলির ‘স্বেচ্ছাচারিতায়’ লাগাম টানতে অ্যাপ তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকারই। পরীক্ষামূলক ভাবে হলুদ ট্যাক্সিকে নিয়ে অ্যাপের মহড়া চললেও ভবিষ্যতে অ্যাপ-ক্যাবগুলিকেও ওই ব্যবস্থার আওতায় আনার ভাবনা রয়েছে সরকারের।
তবে সরকারি উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও মহড়া-পর্বে ট্যাক্সির যাত্রী ও চালকদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রাথমিক ভাবে হাওড়া, কলকাতা স্টেশন এবং কলকাতা বিমানবন্দরে ওই অ্যাপ নিয়ে মহড়া দিয়ে কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হচ্ছে। নতুন অ্যাপের সুবিধার কথা সরকারি তরফে বলা হলেও বাস্তবে ব্যবহারিক জটিলতায় ট্যাক্সিচালকদের অনেকেই অ্যাপ এড়িয়ে চলছেন বলে অভিযোগ। প্রয়োজনীয় পরীক্ষার স্বার্থে চার জায়গায় প্রি-পেড ট্যাক্সির বুথ তুলে দেওয়া হয়েছে। তার বদলে যাত্রীদের সরাসরি যাত্রী সাথী অ্যাপের মাধ্যমে ট্যাক্সি বুক করতে বলা হচ্ছে।
ট্যাক্সিচালকদের অভিযোগ, হাওড়া, শিয়ালদহ, বিমানবন্দরে যে সব যাত্রীরা আসেন তাঁদের বেশির ভাগই বাইরের বাসিন্দা। এর মধ্যে ট্রেনের যাত্রীদের একটা বড় অংশ অ্যাপ ব্যবহারে স্বচ্ছন্দ নন। তাই অনেক চালকই অ্যাপ বন্ধ রেখে বাইরে থেকে যাত্রী তুলছেন। জনবহুল জায়গাগুলিতে অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইন সুবিধাও চালু রাখার দাবি উঠেছে চালকদের পক্ষ থেকে। এই অসুবিধা দূর না করলে মহড়া ব্যর্থ হবে বলে দাবি তাঁদের।
এআইটিইউসি-র ট্যাক্সিচালক সংগঠনের নেতা নওলকিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘দীর্ঘ মেয়াদে অ্যাপ তৈরির সরকারি ভাবনা ভাল। কিন্তু ওই ব্যবস্থার সফল প্রয়োগের জন্য চালক সংগঠনগুলির মত নেওয়া প্রয়োজন ছিল।’’ ধাপে ধাপে নতুন ব্যবস্থা চালু করার পাশাপাশি ভাড়া বৃদ্ধি এবং রাস্তায় পুলিশি নির্যাতন বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
তাঁদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আজ, সোমবার ওই সব দাবি ছাড়াও ট্যাক্সিচালকদের উপরে ২০১৪ সালে লাঠি চালানোর প্রতিবাদে মৌলালিতে ধর্নার ডাক দেওয়া হয়েছে। প্রোগ্রেসিভ ট্যাক্সি মেন’স অ্যাসোসিয়েশনের শম্ভুনাথ দে এবং বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের অসীম বসু অবশ্য অ্যাপের প্রচারে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন। পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, সব সমস্যাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy