ফাইল চিত্র।
ওয়াটগঞ্জে মৃত মহিলার দেহের নিখোঁজ হওয়া কিছু অংশের খোঁজ মিলল চটকল ঘাটের পাশে একটি ঝোপে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর ওই জায়গার হদিস পায় পুলিশ। তার পর সেখান থেকেই শুক্রবার মহিলার দেহের আরও কিছু অংশ উদ্ধার করল পুলিশ।
মহিলার কাটা মাথা, পা এবং বুকের অংশ আগেই উদ্ধার করেছিল পুলিশ। কিন্তু তাঁর হাত, পায়ের আঙুল এবং পেটের অংশ উধাও ছিল। সেগুলি কোথায় ফেলা হয়েছে, তা জানতে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মহিলার ভাসুর নীলাঞ্জন সরখেলকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। খুন হওয়া মহিলা দুর্গা সরখেলের দেহের বাকি অংশ কোথায় ফেলা হয়েছে, নীলাঞ্জনের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করে পুলিশ। নীলাঞ্জন তদন্তে অসহযোগিতা করছেন বলেও পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। যদিও পুলিশের সন্দেহ ছিল, নীলাঞ্জনই দুর্গার দেহের বাকি অংশ ফেলে দিয়ে এসেছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্গা খুনের তদন্তে কিছু সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার হয়েছে। দুর্গাদের বাড়ির ঠিকানা ২৩বি, হেমচন্দ্র স্ট্রিট। সেই বাড়ির উল্টো দিকের বাড়ির সামনে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। সেই ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। তাতে এক বার দেখা গিয়েছে, হাতে প্লাস্টিক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন নীলাঞ্জন। পরে আবার বাড়িতে ঢুকতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
প্রসঙ্গত, দুর্গার দেহ যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে, সেই জায়গা তাঁর বাড়ির একেবারে কাছে। মেরেকেটে ৬০০ মিটার। জেরার সময় নীলাঞ্জনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তদন্তকারীদের একটি সূত্রের দাবি, গোটা জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব জুড়েই নির্লিপ্ত ছিলেন নীলাঞ্জন।
মঙ্গলবার দুপুর ৩টে নাগাদ ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকার সত্য ডাক্তার রোডের পাশে পাঁচিলে ঘেরা একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগে দুর্গার দেহাংশ পেয়েছিল পুলিশ। তার তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার সকালে নীলাঞ্জনকে গ্রেফতার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy