কলকাতার আকাশে সূর্যগ্রহণ। ছবি: পিটিআই।
কলকাতার আকাশে দেখা যাচ্ছে খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ। বিকেল ৪টে ৫২ মিনিট থেকে কলকাতায় এই গ্রহণ দেখা যাচ্ছে। সূর্যাস্ত পর্যন্ত তা দেখা যাবে।
মঙ্গলবারের গ্রহণ শুরু হয়েছে দুপুর ২টো ২৯ মিনিটে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে তা দেখা যাচ্ছে। দিল্লি এবং মুম্বইয়ে যথাক্রমে ১ ঘণ্টা ১৩ মিনিট এবং ১ ঘণ্টা ১৯ মিনিট গ্রহণ দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কলকাতার আকাশে গ্রহণ ১২ মিনিটের বেশি দৃশ্যমান হবে না। বিকেল ৫টা ৪ মিনিটে হবে সূর্যাস্ত।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিটে গ্রহণ শেষ হবে। অর্থাৎ, খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ চলবে ৪ ঘণ্টা ৩ মিনিট। সূর্যের মাত্র ৪ শতাংশ আড়াল করতে পারবে চাঁদ। আন্দামান নিকোবার এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অংশ ছাড়া সারা ভারতেই এই গ্রহণ দেখা যাচ্ছে। ভারতের উত্তর পশ্চিমের রাজ্যগুলি থেকে মঙ্গলবারের গ্রহণ খুব স্পষ্ট দেখা গিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে কলকাতা থেকে গ্রহণ দেখা যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়েছে। কলকাতায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেখা গিয়েছে রোদ ঝলমলে আকাশ। তাই গ্রহণ দেখতে মুখিয়ে আছে শহরবাসী।
ভারত ছাড়া মঙ্গলবার সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছে ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা, এশিয়ার পশ্চিম অংশে, অতলান্তিক মহাসাগরের উত্তর ভাগ এবং ভারত মহাসাগরের উত্তর ভাগে। পরবর্তী আংশিক সূর্যগ্রহণ হবে ২০২৭ সালের ২ অগস্ট।
যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন করে সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গ্রহণের সময় খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকানো যাবে না। এতে চোখের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।
এমপি বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের অধিকর্তা দেবীপ্রসাদ দুয়ারি এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘সূর্যের মাত্র ৪ শতাংশ ঢাকা পড়বে। খালি চোখে একেবারেই গ্রহণ দেখা যাবে না। এক্স রে প্লেট বা সাধারণ সানগ্লাস দিয়ে গ্রহণের সময় সূর্যের দিকে তাকালেও চোখের অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে।’’ গ্রহণ দেখার জন্য সোলার গগলস্ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ১৪ নম্বর ওয়েল্ডিং গ্লাস দিয়েও সূর্যগ্রহণ দেখা যেতে পারে।
গ্রহণ নিয়ে প্রচলিত যাবতীয় কুসংস্কার উড়িয়ে দিয়েছেন দেবীপ্রসাদ। তাঁর কথায়, ‘‘আজকাল সমাজমাধ্যম এবং নানা সংবাদমাধ্যমে গ্রহণ সম্পর্কে নানা খবর চোখে পড়ছে। গ্রহণের সময় কী কী করা উচিত বা অনুচিত, অনেকে তা বলে দিচ্ছেন। আমি বিশ্বাস করি, এগুলি অন্ধ কুসংস্কার ছাড়া কিছুই নয়। এর পিছনে কোনও বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই। আধুনিক সময়ে মানুষ যখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সব রকম সুবিধা ভোগ করছে, তখন এই ধরনের মানসিকতা রাখার যৌক্তিকতা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy