প্রতীকী ছবি।
হস্টেল নেই। মেসে থাকারও উপায় নেই। কারণ, মেস মালিকেরা কোভিড-১৯ আবহে কাউকে থাকতেই দিচ্ছেন না। তার উপরে আবার ট্রেনও চালু হয়নি। অথচ ‘স্টেট মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টি অব ওয়েস্ট বেঙ্গল’-এর কড়া নির্দেশ, পয়লা অগস্টে প্যারামেডিক্যাল কোর্সের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের যত পড়ুয়া রয়েছেন, তাঁদের নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে হবে। আর এই নির্দেশ ঘিরেই বিপাকে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ারা।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে তাঁদের দিয়ে কাজ করানোর জন্যই এ ভাবে ডাকা হচ্ছে। অথচ তাঁদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সে ভাবে এখনও জ্ঞানই হয়নি। বিশেষ করে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের দিয়ে কী ভাবে এমন স্পর্শকাতর সময়ে কাজ করানো হবে! আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক পড়ুয়ার বক্তব্য, ‘‘আমরা এখনও পুরো বিষয়টাই ঠিক করে জানি না। সেখানে যদি কোভিড-১৯-এর মতো পরিস্থিতি সামলাতে কাজ করতে বলা হয়, সে ক্ষেত্রে আমাদের ঝুঁকি তো রয়েছেই, সঙ্গে রোগীরও ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।’’ এসএসকেএম হাসপাতালের এক পড়ুয়ার আবার বক্তব্য, ‘‘চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদেরই পর্যাপ্ত পিপিই নেই বলে শুনতে পাচ্ছি। সেখানে আমরা কাজে যোগ দিলে কি সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা সম্ভব হবে?’’ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক পড়ুয়া বলছেন, ‘‘সমস্ত কলেজ হাসপাতাল থেকে আমাদের মতো পড়ুয়াদের কাছে ফোন আসছে। প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাসের নাম করে কাজে যোগ দিতে অনেক ক্ষেত্রেই জোর করা হচ্ছে।’’
পড়ুয়ারা জানাচ্ছেন, তাঁরা বিষয়টি নিয়ে সমস্ত স্তরেই কথা বলেছেন। কিন্তু কোনও পক্ষ থেকেই সদুত্তর পাননি। এমনকি, সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার পড়ুয়ার সই করা একটি চিঠি স্টেট মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টির সেক্রেটারি ও স্বাস্থ্য দফতরের কাছেও পাঠানো হয়েছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে ‘অল ইন্ডিয়া প্যারামেডিক্যাল স্টুডেন্টস ইউনিট’-এর রাজ্য সম্পাদক সাগ্নিক সাহা বলেন, ‘‘প্যারামেডিক্যাল পড়ুয়াদের দীর্ঘদিন ধরেই অনেক বিষয়ে ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে তাঁদের সমস্যা আরও জটিল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছি।’’ ‘স্টেট মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টি অব ওয়েস্ট বেঙ্গল’-এর এক কর্তার কথায়, ‘‘১ অগস্ট থেকে পড়ুয়াদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে বলা হয়েছে ঠিকই। তবে তাঁরা যাতে থিয়োরি ও প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাসই শুধু করেন, তাঁদের যাতে অন্য ডিউটি না দেওয়া হয়, তা সমস্ত কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জানানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy