ইন্ডিগো কারমাইন বা ‘ব্রিলিয়ান্ট ব্লু’ রং শরীরের পক্ষে কতটা নিরাপদ, তা নিয়েও কিন্তু বিতর্ক রয়েছে। ২০১৩ সালে বিশ্বের অন্যতম স্বীকৃত ‘ফুড অ্যান্ড কেমিক্যাল টক্সিকোলজি’ জার্নালের ৫২তম সংখ্যায় ব্রিলিয়ান্ট ব্লু বা ইন্ডিগো কারমাইন নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে বলা হয়, মানুষের ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকারক ওই রং। বিশেষ করে শরীরের কোথাও কাটাছেঁড়া থাকলে সেখান দিয়ে এই রং প্রবেশ করে দ্রুত রক্তে মিশে যায়। যার একটা ক্ষতিকারক প্রভাব রয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড বায়ো-কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিভাগের শিক্ষক প্রশান্তকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে এর মাত্রা ১০ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন)। কিন্তু বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ওই মাত্রা কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গবেষণা চলছে। বিশেষ করে বাচ্চারা যখন লজেন্স খায়, তখন তাদের শরীরে ওই রং সরাসরি প্রবেশের একটা সম্ভাবনা থাকে। গবেষণাপত্রে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। ফলে সাবধানতাই একমাত্র পথ এ ক্ষেত্রে।’’ প্রশান্তবাবু আরও জানাচ্ছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও একটা ঝুঁকি থাকে বলে জানিয়েছিল ওই গবেষণাপত্র। মাছ কাটার সময়ে হঠাৎ হাত কেটে গেলেও এই রং দ্রুত শরীরে ঢুকে যেতে পারে। আবার খড়্গপুর আইআইটি-র ‘এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুশান্ত দাস বলেন, ‘‘ইন্ডিগো কারমাইন রংটি ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথরিটির অনুমোদনপ্রাপ্ত। তবে তা ব্যবহারের নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে। সেই মাত্রা অতিক্রম করলে স্বাভাবিক ভাবেই সমস্যা হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy