মিউনিসিপ্যালিটি থেকে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন হওয়ার পরে পেরিয়ে গিয়েছে সাড়ে তিন বছর। অথচ কুকুরের নির্বীজকরণের জন্য বিধাননগর পুরসভার নিজস্ব কোনও পরিকাঠামো নেই এখনও। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমেই সেই কাজ করা হচ্ছে। অথচ লোকালয় থেকে শুরু করে হাসপাতাল চত্বরে কুকুর ঘুরে বেড়ানো নিয়ে অভিযোগ রয়েছে বিস্তর। পুর প্রশাসন জানিয়েছে, পরিকাঠামো তৈরির চিন্তাভাবনা চলছে।
নেওয়া হবে বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে পরিকাঠামো প্রদানকারী সংস্থার পরামর্শও। তবে যত দিন পরিকাঠামো তৈরি না হয়, তত দিন পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমেই কাজ চালানো হবে।
বিধাননগরের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, রাস্তাঘাটে কুকুরের সংখ্যা বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে কামড়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। বিধাননগর পুরসভা এলাকার সরকারি হাসপাতালেও ছবিটা একই। পুরসভা সূত্রের দাবি, ৪১টি ওয়ার্ড মিলিয়ে শুধু কুকুরের সংখ্যা পাঁচ হাজারেরও বেশি। পাশাপাশি অনেক সময়ে সল্টলেক, নিউ টাউনের ফাঁকা এলাকায় বাইরে থেকে এসে কুকুর ছেড়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। পশুপ্রেমীদের একাংশের অভিযোগ, এ ক্ষেত্রে স্থায়ী পরিকল্পনা প্রয়োজন। কিন্তু প্রশাসনের কোনও হেলদোল নজরে আসে না।
সম্প্রতি সামনে এসেছে এনআরএসে ১৬টি কুকুর ছানার পিটিয়ে মারার ঘটনা। সেই প্রসঙ্গে ফের সামনে এসেছে বিভিন্ন হাসপাতালে কুকুর ঘুরে বেড়ানোর বিষয়টিও। বিধাননগরে একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যাওয়া এক রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালের ভিতরে কুকুরের অবাধ যাতায়াত। তাদের থেকে রোগীর কোনও ক্ষতি হলে তার দায় কে নেবে? যদিও হাসপাতাল সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ করতে বিধাননগর পুরসভাকে জানানো হয়েছে।
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্তা অরিজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, পুরসভা এলাকায় তাঁরা নির্বীজকরণের কাজ করেন। কিন্তু কুকুরের জন্ম নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কাজের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জমি প্রয়োজন। পুরসভাকে সেই কথা জানিয়েছেন তাঁরা। তবে এ ক্ষেত্রে পুরসভার নিজস্ব পরিকাঠামো থাকলে ভালো হয় বলেও জানান অরিজিৎ।
মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় বলেন, ‘‘পশুর নির্বীজকরণের জন্য পুরসভার নিজস্ব পরিকাঠামো নেই। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে কাজ চালানো হচ্ছে। তবে স্থায়ী পরিকল্পনা তৈরি করে পরিকাঠামো তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy