pix
তৈরি হচ্ছে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস ও নিউ টাউনের সংযোগকারী উড়ালপুল।
ই এম বাইপাসে ‘মা’ উড়ালপুল যেখানে নামছে, সেখান থেকে নিউ টাউনমুখী আর একটি উড়ালপুল করছে কেএমডিএ। প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার লম্বা ওই উড়ালপুলের কাজ খুব শীঘ্র শুরু হবে। এতে বিমানবন্দর, নিউ টাউন যাওয়ার সময়, দূরত্ব দুইই কমবে। পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আটকে ছিল এই পরিকল্পনার রূপায়ণ।
রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বুধবার কলকাতা পুরভবনে এ নিয়ে বৈঠক হয়। তিনি জানান, জনস্বার্থে তৈরি হচ্ছে এই উড়ালপুল। তাই তা নির্মাণে বিভিন্ন দফতরের এবং মানুষের সহায়তা দরকার। ওই উড়ালপুল তৈরির পথে যাতে আর কোনও বাধা না আসে তা নিয়েও আলোচনা হয় এ দিনের বৈঠকে।
কারা করবে ওই উড়ালপুল?
রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘দু’বছর আগেই তা গড়ার পরিকল্পনা হয়। যেহেতু ওই উড়ালপুল বেশ কিছুটা জলাভূমির উপরে স্তম্ভের মাধ্যমে যাবে তাই পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্রের প্রয়োজন ছিল। তা আটকে থাকায় পরিবেশমন্ত্রী শোভনকে বলেছিলাম।’’ এর জন্য প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শোভনবাবু জানান, উড়ালপুলের যে অংশ জলের উপর দিয়ে যাবে তার জন্য ১৪৬টি স্তম্ভ করতে হবে। সব গুলো ধরে এর জন্য মোট ১২ কাঠা পরিমাণ জায়গা লাগবে। পরিবেশের ভারসাম্যের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তা বিবেচনা করেই যে জায়গায় স্তম্ভ করা হবে তার পাশে জলাভূমি করে দেওয়া হবে। কলকাতার উন্নয়ন বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে ওই কাজে এগোনোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান শোভনবাবু।
কী সুবিধা পাওয়া যাবে?
কেএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে খবর, বর্তমানে বাইপাস থেকে উড়ালপুল যেতে মোট ৭টি ক্রসিং পার হতে হয়। বাইপাস থেকে
নিউ টাউন হয়ে বিমানবন্দরের পথে যেতে অনেকটা সময় লাগে। নতুন ওই উড়ালপুল প্রায় এক ঘণ্টা সময়
কমিয়ে দেবে। বাইপাস থেকে নিউ টাউনে কলকাতা গেটের কাছে নামবে এই উড়ালপুল। এ দিনের বৈঠকে দুই মন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন হিডকোর সিএমডি, পুর ও নগরোন্নয়ন সচিব, পরিবেশ সচিব এবং কলকাতার
পুর কমিশনার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy