সিটি কলেজের পাশে এই হস্টেলেই ফাটে বোমা। রবিবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
আমহার্স্ট স্ট্রিট সিটি কলেজের পাশে পরিত্যক্ত ছাত্রাবাসে বোমা ফেটে রবিবার জখম হয়েছিল দুই কিশোর। কিন্তু কী ধরনের বোমা ফেটেছিল, তা নিয়ে ঘটনার এক দিন পরেও অন্ধকারে পুলিশ। এমনকী, কারা ওই বোমা রেখে গিয়েছিল তা-ও জানতে পারেননি তদন্তকারীরা। লালবাজারের অবশ্য দাবি, দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। সোমবার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে।
রবিবার ওই ছাত্রাবাসের ভিতরে খেলছিল রিন্টু সাউ ও কৌস্তুভ দাস নামে দুই কিশোর। একটি গোলাকার জিনিসের ব্ল্যাক টেপ খুলতেই সেটি বিকট শব্দে ফাটে। গুরুতর জখম হয় রিন্টু ও কৌস্তুভ। ঘটনার পরেই এলাকায় যান বম্ব স্কোয়াড এবং গোয়েন্দারা। তাঁরা তল্লাশি চালিয়েও স্প্লিন্টার উদ্ধার করতে পারেননি।
জখম দুই কিশোর পুলিশের কাছে দাবি করেছিল, কৌটোবোমা ফেটেছে। যদিও তদন্তকারীরা কৌটোবোমার কোনও অংশ উদ্ধার করতে পারেননি। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, পরিত্যক্ত ছাত্রাবাসের ওই অংশে বারুদের গন্ধ ছিল। সেখানে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, পরিত্যক্ত ছাত্রাবাসে বহিরাগত ও মাদকাসক্তদের যাতায়াত ছিল। লালবাজার জানায়, অভিযুক্তদের শনাক্ত করার জন্য স্থানীয় দুষ্কৃতীদের জেরা করা হচ্ছে।
এ দিকে, ভগ্নদশায় থাকা ওই ছাত্রাবাস কী ভাবে সংস্কার করা যায়, তা নিয়ে এ দিন বৈঠক করেন সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, দ্রুত ছাত্রাবাসের সব নথি যাতে কলেজকে দেওয়া হয়, সে জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আবেদন করা হবে। ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রাবাসের দায়িত্ব কলেজকে দিলেও পর্যাপ্ত নথি আসেনি বলে অভিযোগ কর্তৃপক্ষের। ছাত্রাবাসের হাল ফেরাতেই এ দিনের বৈঠক বলে জানান সিটি কলেজের অধ্যক্ষ শীতলপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy