প্রতীকী চিত্র।
এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুরে আনন্দপুর থানার মাদুরদহ হোসেনপুরে একটি ফ্ল্যাট বাড়ির একতলার একটি ঘর থেকে ওই ছাত্রের গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ছাত্রের নাম শান্তনু দাস (১৯)।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, শান্তনু রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক নিয়ে পড়াশোনা করতেন। এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ছাত্রের বাবা মিন্টু দাস আনন্দপুর থানায় ঢুকে জানান, তাঁর ছেলে গলায় ফাঁস দিয়ে সিলিং থেকে ঝুলছেন। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। তিনি আরও জানান, এ দিন সকালে তিনি কাজে বেরিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রীও জরুরি কাজে বাইরে যান। কাজ থেকে ফিরে মিন্টুবাবু দেখেন, ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। ঘরের জানলা খোলা ছিল। জানলায় উঁকি দিয়ে তিনি ছেলেকে ঝুলে থাকতে দেখেছেন।
থানার অফিসার ও কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে মিন্টুবাবুর একতলার ঘরে যান। দরজা ভেঙে তাঁরা দেখেন, ধুতির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় শান্তনুর দেহ সিলিং থেকে ঝুলছে। ফাঁস কেটে শান্তনুকে সিলিং থেকে নামিয়ে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পুলিশ শান্তনুর বাবার সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে, ওই ছাত্র নানা কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই কারণেই তিনি আত্মঘাতী হন বলে পুলিশের অনুমান। এ দিন বিকেলে ছাত্রের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ঘরের দরজায় তালা বন্ধ। পাড়ার কয়েক জন বাসিন্দা জানান, শান্তনু ভদ্র ছেলে বলে পরিচিত ছিলেন। তাঁর বাবা এলাকারই এক প্রোমোটারের অফিসের কর্মী। ওই প্রোমোটারই তাঁকে ফ্ল্যাটবাড়ির একতলায় একটি ঘরে থাকতে দিয়েছেন। কয়েক বছর আগে মিন্টুবাবুর এক মেয়েও মারা যান।
পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে দেহের ময়না-তদন্ত করানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy