সুনসান: দুর্ঘটনার পরে বন্ধ রয়েছে কলেজ স্কোয়ার। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
সোম-মঙ্গল ছুটি। অফিস খুললেই বুধবার থেকে শুরু হবে তদন্ত। কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন পুরকর্তাদের একটি দল কলেজ স্কোয়ারে সাঁতারু কাজল দত্তের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করবেন।
গত শুক্রবার দিনভর তল্লাশি চালিয়ে রাত তিনটে নাগাদ পুল থেকে কাজলবাবুর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান, কোনও ভাবে পুলের তলায় স্ল্যাব আর ভারী পাটাতনের ফাঁকে আটকে গিয়েছিলেন তিনি। এমনও হতে পারে, জলের তলায় থাকাকালীন কোনও চাপে ওই পাটাতন পড়ে যায় তাঁর উপর। শ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
কিন্তু কেন কাঠের পাটাতন আটকে ছিল ওই স্ল্যাবের নীচে? যে ঠিকাদার ‘ডিওয়াটারিং’ এবং পলি পরিষ্কারের বরাত পেয়েছিলেন, তিনি কি কাজ সম্পূর্ণ করেছিলেন? নজরদারি কি ঠিক ছিল? সবটা খতিয়ে না দেখে কেন জল ভর্তি করা হল কলেজ স্কোয়ারের পুলে? এ সব খতিয়ে দেখবে ওই দল। মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘কলেজ স্কোয়ারে যা ঘটেছে, তা দুঃখজনক। তবে এই ঘটনায় গাফিলতি কার, সেটা খতিয়ে দেখা হবে। বুধবার পুরকর্তাদের একটি দল গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।’’
আরও পড়ুন: আরও বৃষ্টির ভয় দেখাচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত
স্থানীয়দের একাংশের মতে, পুরসভার দায়িত্ব নিয়ে যেমন প্রশ্ন থাকছে, তেমনই প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট ক্লাব কর্তৃপক্ষের নজরদারিও। কেন পুলের স্ল্যাবের কাজ শেষ হওয়ার পরে কাঠের পাটাতন আটকে ছিল, তা স্পষ্ট নয় বলে মনে করছেন তাঁরা।
শুক্রবার সকালে সাঁতারু কাজল দত্ত কলেজ স্কোয়ারের ওই পুলে নেমেছিলেন। তাঁকে সাঁতার কাটতে দেখেছিলেন ক্লাবের অন্য সদস্যেরাও। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না-ওঠায় চিন্তায় পড়ে যান ক্লাবের সদস্যেরা। ১৯ ঘণ্টা তল্লাশির পরে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্পোর্টস’ থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং ‘ইন্ডিয়ান লাইফ সেভিং সোসাইটি’র শংসাপত্র থাকা দক্ষ সাঁতারু কাজলবাবুর দেহ উদ্ধার হয়।
বৌবাজার ব্যায়াম সমিতি সুইমিং ক্লাবের আজীবন সদস্য ছিলেন কাজলবাবু। ওই ক্লাব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী ১৪ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত সব সাঁতার প্রতিযোগিতা বন্ধ রাখা হবে। ক্লাবের সহকারী সম্পাদক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘১৮ তারিখ পর্যন্ত প্রতিযোগিতা বন্ধ থাকছে। তবে তার পরেরগুলি নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy