Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

পুজোর বৈঠকে উদ্যোক্তাদের ক্ষোভের মুখে পুর-কর্তৃপক্ষ

পুজো সমন্বয় সভায় পুরসভার দিকে ক্ষোভ উগরে দিলেন শহরের পুজো উদ্যোক্তরা। পুজো উপলক্ষে শনিবার কলকাতা পুলিশ শহরের সমস্ত পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করে। সেখানেই শহরের রাস্তার বেহাল দশা এবং গাছপালা ঠিক মতো ছাঁটা না হওয়া নিয়ে সরব হন পুজো উদ্যোক্তাদের একাংশ। তাঁরা জানান, রাস্তার খারাপ দশার জন্য পুজোর প্রস্তুতিতে সমস্যা হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৪ ০২:২৩
Share: Save:

পুজো সমন্বয় সভায় পুরসভার দিকে ক্ষোভ উগরে দিলেন শহরের পুজো উদ্যোক্তরা।

পুজো উপলক্ষে শনিবার কলকাতা পুলিশ শহরের সমস্ত পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করে। সেখানেই শহরের রাস্তার বেহাল দশা এবং গাছপালা ঠিক মতো ছাঁটা না হওয়া নিয়ে সরব হন পুজো উদ্যোক্তাদের একাংশ। তাঁরা জানান, রাস্তার খারাপ দশার জন্য পুজোর প্রস্তুতিতে সমস্যা হচ্ছে। পুজোর সময়ে তড়িঘড়ি রাস্তায় প্রলেপ দেওয়া হলেও তা কিছু দিনের মধ্যেই ফের নষ্ট হয়ে যাবে। গাছপালা না ছাঁটায় মণ্ডপ তৈরিতেও সমস্যা হচ্ছে। এ দিকে, পুরসভা অনুমতি না দেওয়ায় উদ্যোক্তারা নিজেরাও গাছ ছাঁটতে পারছেন না। আটকে যাচ্ছে কাজ।

এ বার বর্ষা বিদায়ের আগেই পুজো শুরু হয়ে যাবে। ফলে পুজোর সময়ে বৃষ্টি হলে নিকাশির সমস্যা হতে পারে। এ দিনের বৈঠকে পুরকর্তাদের কাছে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রাখার আবেদনও জানিয়েছেন তাঁরা।

পুরকর্তারা অবশ্য আশ্বাস দিচ্ছেন, এই সমস্যা শীঘ্রই মিটিয়ে ফেলা হবে। মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার নিজেও শহরের একটি নামী পুজোর কর্মকর্তা। তিনি বলছেন, “অন্য বারের মতো এ বারেও গাছের ডালপালা ছাঁটার কাজ চলছে। পুজোর আগেই এই কাজ শেষ করে দেওয়া হবে। তার পরেও কোনও অভিযোগ থাকলে পুরসভাকে জানাবেন। অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পুরসভার মেয়র পারিষদ (রাস্তা) সুশান্তকুমার ঘোষ বলেন, “প্রতিবারেই পুজোর আগে রাস্তা মেরামত করা হয়। এ বারেও মহালয়ার আগে সব রাস্তা মেরামতি করে দেওয়া হবে। পুরসভার রাস্তা ছাড়াও অন্যান্য সংস্থাকে তাঁদের রাস্তা মেরামতির জন্য ইতিমধ্যেই আর্জি জানানো হয়েছে।” নিকাশির সমস্যাও মিটিয়ে ফেলার আশ্বাস দিয়েছে পুরসভা। তারা জানিয়েছে, পুজোর সময়ে সমস্ত পাম্পিং স্টেশনের পাম্পগুলি সচল রাখার পাশাপাশি বাড়তি পাম্পের ব্যবস্থাও থাকবে।

বৈঠক শেষে কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ করপুরকায়স্থ জানান, “উদ্যোক্তা, পুরসভা, সিইএসসি-র আধিকারিকদের নিয়েই বৈঠকটি ছিল। প্রত্যেকেই তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। সেগুলি নজর দেওয়া হবে।”

পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে পুজোর নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। শহরের বড় পুজো কমিটিগুলিকে মণ্ডপ ও তার চার পাশে সিসিটিভি লাগাতে বলা হয়েছে। ভিড়ের মধ্যেও যাতে নজরদারি চালানো যায়, সে বিষয়ে জোর দিচ্ছে পুলিশ। এ দিন কয়েকটি পুজো মণ্ডপের কাছাকাছি দমকলের গাড়ি রাখার প্রস্তাবও দিয়েছে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, শহরের কয়েকটি নামী পুজো নিজেদের উদ্যোগেই এই ব্যবস্থা ইতিমধ্যে চালু করেছে। বাকিদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE