দিন-রাতের বেশির ভাগ সময়েই মোবাইল অ্যাপে ঢুকে গাড়ি ডাকতে গেলে দেখা যাচ্ছে, ভাড়া কখনও দু’গুণ, কখনও-বা তিন গুণ। উবের-ওলার আশা ছেড়ে বাধ্য হয়ে অনেকেই তাই এখন রাস্তায় নেমে সেই হলুদ ট্যাক্সি ডাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
শুক্রবার এক কর্মশালার উদ্বোধনে উবেরের জেনারেল ম্যানেজার অশ্বিন ডায়াস এই সমস্যা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, মূলত চাহিদার তুলনায় যোগান দেওয়া যাচ্ছে না। দিনের যে সময়ে অনেক গ্রাহক একসঙ্গে একই জায়গায় গাড়ির খোঁজ করছেন, দেখা যাচ্ছে সেই সময়ে ওই স্থানে তুলনায় গাড়ি কম। সেই কারণে অর্থনীতির স্বাভাবিক নিয়মেই ভাড়া বেড়ে যাচ্ছে। অশ্বিনের দাবি, অতিরিক্ত এই টাকা উবেরের পকেটে নয়, গাড়ি মালিকদের পকেটেই যাচ্ছে। আরও গাড়ি উবেরে যোগ দিলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে তিনি এ দিন জানিয়েছেন।
রাজ্য সরকারের গতিধারা প্রকল্পে-র অধীনে দু’দিনের এই কর্মশালার মাধ্যমে উবের আরও গাড়ি পাবে বলে মনে করছেন অশ্বিন। সন্তোষপুরের সার্ভে পার্কের কাছে এ দিন এই কর্মশালার উদ্বোধন করে রাজ্যের পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই প্রকল্পে এক দিকে যেমন বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হবে, অন্য দিকে গাড়ি বাড়বে ওলা-উবেরের মতো সংস্থার। এই মূহূর্তে সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে উবের কর্মশালা শুরু করেছে। ২০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে যে কোনও যুবক, যাঁর পারিবারিক আয় মাসে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে, তিনি এই কর্মশালার মাধ্যমে গাড়ি পাবেন। তা ছাড়াও যে ডিলারেরা নিয়মিত গাড়ি বিক্রি করেন, তাঁরাও গতিধারার আওতায় গাড়ি বিক্রি করবেন।’’
সচিব জানান, গাড়ি কেনার জন্য বেকারদের রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে। বাকি টাকা ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে। এই ভর্তুকি দেওয়ার জন্য আপাতত রাজ্য বাজেট থেকে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তার মধ্যে প্রথম দফায় ৫০ কোটি টাকা অর্থ দফতর দিয়েছে। শুধু ছোট গাড়ি নয়, বড় বাস কেনার জন্যও গতিধারা প্রকল্পের আওতায় ভর্তুকি দেওয়া হবে। আলাপনবাবু জানান, সাধারণ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেতে গেলে অনেক বড় প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তাই, ১৩টি বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থাও ঋণ দেবে বলে ঠিক হয়েছে। জানা গিয়েছে, শুধু উবের নয়, ওলা-মেরুর মতো সংস্থাও রাজ্য সরকারের গতিধারা প্রকল্পের আওতায় এ ভাবে কর্মশালা তৈরি করতে চায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy