ভোট দিয়ে বেরোচ্ছেন তৃণমূল নেতা দেবরাজ চক্রবর্তী। পাশে স্ত্রী অদিতি মুন্সী। নিজস্ব চিত্র।
প্রায় ন’মাস আগে, বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে স্ত্রীর হয়ে প্রচারের চাপটা একা হাতে সামলেছিলেন তিনিই। ভোটের আগে মিটিং-মিছিল থেকে শুরু করে ভোটের দিনের যাবতীয় ‘কাজ’— সবই সামলেছিলেন ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর, স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তী। তবে বিধাননগরের পুরভোটে সাত নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী দেবরাজের জন্য বিধায়ক-স্ত্রী অদিতি মুন্সী অবশ্য কাজ শুরু করলেন একটু দেরি করেই। তবে তার পরে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অবশ্য আর বাড়িমুখো হননি। সন্ধ্যা পর্যন্ত গাড়ি নিয়ে চষে বেরিয়েছেন এলাকা।
গত বিধানসভা ভোটে অদিতি ছিলেন রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রে শাসকদলের প্রার্থী। সে সময়ে স্ত্রীর হয়ে ভোটের যাবতীয় কাজ সামলেছিলেন দেবরাজ। প্রার্থী অদিতি বুথে বুথে ঘুরলেও ভোটের দিনের গুরুভার কার্যত সামলেছিলেন এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা দেবরাজই। তবে শনিবার পুরভোটের দিন অবশ্য খানিকটা ব্যাকফুটে ছিলেন বিধায়ক-স্ত্রী। একটু দেরি করেই ময়দানে নামলেন অদিতি। দুপুরে একটি ভোটকেন্দ্রে স্বামীর সঙ্গে তাঁকে দেখা গেলেও বাকি সময়টা এলাকায় ঘুরলেন নিজের মতোই। তাঁর কথায়, ‘‘আমি এই এলাকার বিধায়ক হলেও ভোটার নই। ফলে নিয়ম অনুযায়ী বুথের ভিতরে ঢুকতে পারি না। তবে এলাকার বিধায়ক হিসেবে ভোট যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়, তার জন্য যা যা করার সেটাই করেছি।’’
আর পাঁচটা দিনের মতো ভোটের দিনও সকালের প্রার্থনা আর রেওয়াজ বাদ দেননি বিধায়ক। বরং ভোটের ব্যস্ততায় যাতে সঙ্গীত-সাধনায় ব্যাঘাত না ঘটে, তাই ভোর ভোরই উঠে পড়েছিলেন অদিতি। তাঁর কথায়, ‘‘রেওয়াজ আর প্রার্থনা ছাড়া আমার দিন শুরু হয় না। যে হেতু আজ ভোট, তাই একটু সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে সেগুলো সেরে ফেলেছি।’’ তার পরে বিধায়ক হিসেবে এলাকায় ভোট কেমন হচ্ছে, তা দেখতে বেরোন তিনি। বললেন, ‘‘আমি চাই না, আমার এলাকায় কোনও ঝামেলা হোক। ভোট শান্তিপূর্ণ হলে সেটাই তো আমার কাছে বড় প্রাপ্তি।’’
তবে অদিতির দেরি হলেও এ দিন সকাল থেকেই বুথে বুথে ঘুরে ভোট দেখেছেন প্রার্থী দেবরাজ। কথা বলেছেন কর্মীদের সঙ্গে। এমনকি, ১২ নম্বর বুথের সামনের রাস্তায় ভিড় করে থাকতে দেখে নিজেই তাঁদের সরাতে উদ্যোগী হন। দেবরাজের কথায়, ‘‘ভোটের দিন আমি সে ভাবে বেরোই না। এলাকার প্রত্যেকেই আমাকে চেনেন। জানি, এলাকার ৯৫ শতাংশ ভোটারই আমাকে সমর্থন করবেন। আমি কেন বাইরে ঘুরতে যাব! জয়ের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’’
চিন্তায় নেই বিধায়ক স্ত্রী-ও। অদিতির কথায়, ‘‘যিনি কঠিন সময়ে আমায় জেতাতে পারেন, তিনি নিজে হারবেন কী ভাবে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy