যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।—ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে ‘ডোমিসাইল কোটা’ বা পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীদের জন্য আসন সংরক্ষণের পক্ষে ইতিমধ্যেই সওয়াল করেছে একাধিক বিভাগ। এই বিষয়ে আজ, বুধবার ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠকে আলোচনা হবে।
আগের বৈঠকের পরে যে-সব বিভাগের মতামত জানানোর কথা ছিল, তাদের মধ্যে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন এবং পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষকেরা মনে করছেন, যে-নিয়ম এখন চালু আছে, সেটাই বহাল রাখা দরকার। এ রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য আলাদা করে সংরক্ষণের কোনও প্রয়োজন নেই। কিন্তু কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষকেরা বিষয়টি নিয়ে প্রায় দ্বিধাবিভক্ত। এই পরিস্থিতিতেই আজ ফের বৈঠক হতে যাচ্ছে। কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগে ভর্তি হন রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় একেবারে উপরের দিকে থাকা অধিকাংশ পড়ুয়া। ‘‘বুধবার বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনায় বসছি,’’ মঙ্গলবার বলেন এ দিন ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ডিন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।
ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টিতে এখন ভিন্ রাজ্যের পড়ুয়ার সংখ্যা অনেক। কোনও কোনও বিভাগে পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীদের তুলনায় তাঁদের সংখ্যা বেশি। অভিযোগ, ভিন্ রাজ্যের অনেক পড়ুয়া ক্লাসে ভাল করে পড়া বুঝতে পারেন না। দু’-একটি ক্ষেত্রে হিন্দিতে পড়ানোরও দাবি তুলেছেন তাঁরা। অনেকের পরীক্ষার ফলও ভাল নয়। ক্যাম্পাসে নীতি-পুলিশগিরির সঙ্গেও ভিন্ রাজ্যের পড়ুয়াদের কেউ কেউ যুক্ত বলে অভিযোগ। ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠকে যা ঠিক হবে, তা জানানো হবে কর্মসমিতিকে। আসন সংরক্ষণ করা হবে কি না, সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কর্মসমিতিই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy