ফাইল চিত্র।
নীল-সাদা চেক শার্ট আর কালো ট্রাউজ়ার্স পরে দৌড়চ্ছে এক যুবক। পিছনে তাড়া করেছে ঘোড়সওয়ার পুলিশ। কোনও ফিল্মের দৃশ্য না হলেও শনিবার সকালে এমনই ফিল্মি কায়দায় বাবুঘাট থেকে ঘোড়া ছুটিয়ে মেয়ো রো়ডে এসে ওই যুবককে ধরে ফেললেন সেই ঘোড়সওয়ার পুলিশকর্মী। পরে জানা যায়, ধৃত যুবক আসলে এক মাদক পাচারকারী।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন বিশেষ সূত্রে তাদের কাছে খবর আসে, গাঁজা নিয়ে ওড়িশা থেকে বাসে চেপে কয়েক জন যুবক কলকাতায় আসছে। কিন্তু খবর যখন পৌঁছয়, তখন ওড়িশা থেকে আসা সেই বাস প্রায় বাবুঘাটে পৌঁছে গিয়েছে। ফলে লালবাজার থেকে গোয়েন্দারা পৌঁছনোর আগেই পাখি হাওয়া হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এত পরিমাণ গাঁজা বাজারে ছড়ানোর আগে পাচারকারীদের ধরে ফেলাটাও খুব দরকার। তাই লালবাজার থেকেই খবর যায় ঘোড়সওয়ার পুলিশের কাছে। কারণ, তাঁরা বাবুঘাট সংলগ্ন এলাকাতেই টহল দিচ্ছিলেন।
সেই মতো বাস বাবুঘাটে পৌঁছনো মাত্রই পাচারকারী যুবকদের ধরতে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে যায় ঘোড়সওয়ার পুলিশ। ব্যাগ নিয়ে নামার পরেই যে পুলিশের সামনে পড়তে হবে, তা ভাবতে পারেনি পাচারকারীরা। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে তখন ব্যাগ ফেলেই তারা যে দিকে খুশি দৌড়তে শুরু করে। তাদের সবাইকে ধাওয়া করতে না পারলেও এক যুবককে তাড়া করে মেয়ো রো়ডের কাছে ধরে ফেলে ঘোড়সওয়ার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তাকে।
পরে কলকাতা পুলিশের নার্কোটিক্স বিভাগের গোয়েন্দারা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ওই যুবককে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ওই যুবকের নাম বিদুর বিষয়। বাড়ি ওড়িশায়। তার সঙ্গে আরও পাঁচ যুবক ছিল। যদিও তারা প্রত্যেকেই পুলিশ দেখে দৌড়ে পালিয়েছে। ওই পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ব্যাগে মিলেছে ৪০ কিলোগ্রাম গাঁজা, যার আনুমানিক বাজারমূল্য আড়াই লক্ষ টাকা বলে জানা গিয়েছে। ওই গাঁজা কাদের হাতে এবং কোথায় পাচারের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল, তা জানতে গোয়েন্দারা ধৃতকে জেরা করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy