Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Fraud

মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে ২০ লক্ষ টাকা প্রতারণা, তদন্তে নেমে সল্টলেকের কল সেন্টার থেকে ধৃত ৭

কলকাতা পুলিশের ডিসি (বন্দর) জাফর আজমান কিদওয়াই জানিয়েছেন, কল সেন্টারের কর্মীরা প্রতারণার বিষয়ে সবটাই জানতেন। ফোন করে বিভিন্ন জনের থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা চালাতেন।

ডিসি (বন্দর) জাফর আজমল কিদওয়াই জানান, কল সেন্টারের কর্মীরা প্রতারণার বিষয়ে সবটাই জানতেন।

ডিসি (বন্দর) জাফর আজমল কিদওয়াই জানান, কল সেন্টারের কর্মীরা প্রতারণার বিষয়ে সবটাই জানতেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:১৮
Share: Save:

বাড়িতে মোবাইল টাওয়ার বসিয়ে দেওয়ার নামে ২০ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল। একবালপুর থানায় গিয়ে এমন অভিযোগ করেন এক ব্যক্তি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে শুরু করে একবালপুর থানা এবং বন্দর বিভাগের সাইবার সেল। শেষ পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সল্টলেকে একটি কল সেন্টার খুলে ওই প্রতারণা করছিলেন ধৃতেরা।

অভিযোগকারীর নাম নুর আলম। গত অগস্টে একবালপুর থানায় তিনি অভিযোগ জানান, বেসরকারি একটি মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার টাওয়ার বসানোর জন্য তাঁর কাছে ফোন আসে। ফোনে বলা হয়েছিল, এতে আখেরে তাঁরই লাভ হবে। এর পর অগস্টের আগের দু’মাসে ১৭ দফায় তাঁর কাছ থেকে মোট ২০ লক্ষ ৫২ হাজার ৬৫০ টাকা আদায় করা হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত কোনও মোবাইল টাওয়ার বসানো হয়নি বলে নুরের অভিযোগ।

নুরের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এর পর গ্রেফতার করা হয় মানসজ্যোতি গগৈ নামের এক ব্যক্তিকে। তাঁকে জেরা করেই পুলিশ এই ঘটনায় সল্টলেকের একটি কল সেন্টারের যোগসূত্র খুঁজে পায়। সেখানে অভিযান চালিয়ে কল সেন্টারের মালিক, ম্যানেজার-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ধৃতদের কাছ থেকে ১০টি স্মার্ট ফোন, ৩৩টি সিম, ১২টি এটিএম কার্ড ও দু’টি ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ডিসি (বন্দর) জাফর আজমল কিদওয়াই বলেন, ‘‘কল সেন্টারের কর্মীরা প্রতারণার বিষয়ে সবটাই জানতেন। জেনেশুনেই তাঁরা কাজে ঢুকেছিলেন। ফোন করে বিভিন্ন জনের থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা চালাতেন ওঁরা। আর কেউ প্রতারিত হয়েছিলেন কি না, তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Fraud cheating Mobile Tower
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE