প্রতীকী ছবি।
জামাইকে ছুরি মারার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন শ্বশুর। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কড়েয়া থানা এলাকার তিলজলা রোডে। এই ঘটনায় শ্বশুর মহম্মদ বেচুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে কড়েয়া থানার পুলিশ। জামাই ইমরান আলম ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মল্লিকপুরের বাসিন্দা, পেশায় গাড়িচালক বছর পঁচিশের ইমরান আলম গত কয়েক বছর ধরে তিলজলা রোডে ভাড়াবাড়িতে রয়েছেন। তিলজলা রোডের কাছাকাছিই থাকেন বছর পঞ্চাশের মহম্মদ বেচু। তিনিও আদতে মল্লিকপুরের বাসিন্দা। তাঁর মেয়ের সঙ্গে বছর কয়েক আগে বিয়ে হয় ইমরানের। পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই ইমরান তাঁর স্ত্রীর উপরে নির্যাতন চালাতেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। অভিযোগ, মেয়ের উপরে জামাইয়ের নির্যাতন সহ্য করতে পারছিলেন না মহম্মদ বেচু। বারবার বলা সত্ত্বেও শোধরাননি ইমরান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতেও এই নিয়ে জামাই ও শ্বশুরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটি থেকে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। এর পরে হঠাৎই বেচু বাড়িতে থাকা একটি ছুরি নিয়ে জামাইয়ের পেটে ঢুকিয়ে দেন। রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেয় লুটিয়ে পড়েন ইমরান।
স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে ইমরানের পেটে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাঁর আপাতত অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy