চলছে কাজ। —নিজস্ব চিত্র।
এ বছরের শেষে নয়, দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াকের কাজ শেষ করতে হবে কালীপুজোর আগেই। যাতে কালীপুজোয় দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে আসা ভক্ত ও দর্শনার্থীরা তা ব্যবহার করতে পারেন। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে এসে এমনই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘স্কাইওয়াক মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। তিনি যখন কালীপুজোর মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন, তখন সেটা করতেই হবে। আমরা কেএমডিএ-র আধিকারিক এবং নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে ফের আলোচনায় বসব।’’ ২০১৫-র মার্চে দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তার পরে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ঢোকার মূল রাস্তা রানি রাসমণি রোডের দু’পাশের দোকান সরাতে গিয়ে তৈরি হয় আইনি জটিলতা। এক বছর ধরে রাজ্য প্রশাসন ও দোকানিদের মধ্যে চাপান-উতোর চলার পরে গত ডিসেম্বরে স্কাইওয়াকের কাজ শুরু হয়।
এ দিনের বৈঠকে কামারহাটির পুর চেয়ারম্যান গোপাল সাহার কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, স্কাইওয়াকের কাজ কবে শেষ হবে? গোপালবাবু জানান, আগামী নভেম্বরেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। তাতে সন্তুষ্ট হননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে আমি কথা দিয়েছিলাম। তাই নভেম্বর নয়, কালীপুজোর আগেই কাজ শেষ করে পুজোর সময়ে তা খুলে দিতে হবে।’’ সেই সময়ে পুর কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, স্কাইওয়াক তৈরির পরে ব্যবসায়ীদের দোকানঘর বরাদ্দ করার প্রক্রিয়া রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দোকান পরে হবে। আগে স্কাইওয়াক মানুষের হাঁটার জন্য চালু করতে হবে।’’
এক মাস আগে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম স্কাইওয়াকের কাজের অগ্রগতি দেখতে দক্ষিণেশ্বরে যান। সেখানে বৈঠকে তিনি নির্মাণকারী সংস্থার কাছে জানতে চান, কেন কাজে দেরি হচ্ছে? নির্মাণকারী সংস্থার আধিকারিকেরা জানিয়েছিলেন, মাটির নীচে জলের পাইপ, বিদ্যুতের তার, কেব্ল লাইন-সহ বিভিন্ন জিনিস রয়েছে। সেগুলি বাঁচিয়ে কাজ করতে গিয়েই সময় লেগেছে। তবে ওই দিনই পুরমন্ত্রী জানিয়ে দেন, আগামী বছরের কল্পতরু উৎসবের আগেই তা চালু করতে হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, কালীপুজোয় যাতে ওই স্কাইওয়াক দিয়েই হেঁটে মানুষ মন্দিরে যেতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: সব্যসাচী হয়ে নজর কাড়লেন ‘একলব্যরা’
দক্ষিণেশ্বরের রানি রাসমণি রোডের যানজট দূর করতেই মুখ্যমন্ত্রী ওই রাস্তায় আধুনিক ধাঁচের স্কাইওয়াক তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো কাজ শুরু হয়েছে। দক্ষিণেশ্বর স্টেশন থেকে শুরু করে মন্দিরের সিংহদুয়ার পর্যন্ত যাবে স্কাইওয়াক। রাস্তা থেকে সাড়ে পাঁচ মিটার উঁচুতে থাকা ৪০০ মিটার লম্বা ও ১০ মিটার চওড়া স্কাইওয়াকের উপরে থাকবে হাঁটার জায়গা ও দু’ধারে দোকান। নীচ দিয়ে শুধু যানবাহন চলবে। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি পরিষদের সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই রাজ্যের প্রথম স্কাইওয়াক হচ্ছে দক্ষিণেশ্বরে। কালীপুজোর মধ্যে চালু হওয়া মানে পুজোর মরসুমে রাজ্যবাসীকে বড় উপহার দেওয়া।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy