কলকাতা বইমেলা। —ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা বইমেলা শুরু হচ্ছে। উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতি বছরের মতো এ বছরেও সেন্ট্রাল পার্কের বইমেলা প্রাঙ্গণে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বিকেল ৪টে নাগাদ স্টেট ব্যাঙ্ক অডিটোরিয়ামে বইমেলার উদ্বোধন হবে। ৪৭ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা চলবে ১৮ থেকে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
প্রতি দিন বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বইমেলা চলবে। এ বারের বইমেলার থিম ব্রিটেন। উদ্বোধনে মমতার সঙ্গে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালেক্স ইলিস সিএমজি, ব্রিটিশ কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর অ্যালিসন ব্যারেট এমবিই এবং লেখক বাণী বসু। এ ছাড়াও বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা এবং ব্রিটেনের একাধিক নামী লেখক, সাহিত্যিক থাকবেন।
থিমের দেশকে সামনে রেখে আগামী ১৯ জানুয়ারি বইমেলার দ্বিতীয় দিনে ‘ব্রিটেন ডে’ পালিত হবে। এ ছাড়াও বিভিন্ন দিনে বিশেষ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা রয়েছে। ২০ জানুয়ারি বইমেলায় পালিত হবে ‘বাংলাদেশ দিবস’। বইমেলা প্রাঙ্গণে শিশুদের জন্য উদ্যাপিত হবে ২১ জানুয়ারি দিনটি। ওই দিনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘শিশু দিবস’। শিশুদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে সে দিন। আগামী ২৪ জানুয়ারি প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বিশেষ দিন। বইমেলায় ওই দিন পালিত হবে ‘সিনিয়র সিটিজ়েন ডে’।
৩১ জানুয়ারি বইমেলার শেষ দিন। ওই দিন রাত ৯টায় বইমেলার সমাপ্তি অনুষ্ঠান হবে। থাকবে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানও।
কলকাতা বইমেলা থেকে ১৮টি গন্তব্যের জন্য ২০০টি বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বইমেলা থেকে শিয়ালদহ, হাওড়া স্টেশন, পর্ণশ্রী, শকুন্তলা পার্ক, ঠাকুরপুকুর, গড়িয়া, কামালগাজি, টালিগঞ্জ মেট্রো, বারাসত, বালিহল্ট, বারুইপুর, ব্যারাকপুর, যাদবপুর, সাঁতরাগাছি, উল্টোডাঙা, রথতলা, বেলগাছিয়া এবং ডানকুনির বাস ছাড়বে। এ বছর সল্ট লেকের করুণাময়ী এবং ময়ূখ ভবনের কাছে দু’টি বাসস্ট্যান্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিকেল ৩টে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই বাসস্ট্যান্ডগুলি থেকে পরিষেবা মিলবে।
বইমেলা চলাকালীন রবিবারও চলবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর (গ্রিন লাইন) পরিষেবা। পাশাপাশি, মেলার দিনগুলিতে দৈনিক ট্রেনের সংখ্যা এবং পরিষেবার সময়ও বাড়াচ্ছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy