—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গ্যাঁটের কড়ি খসিয়ে অনলাইন গেমের অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছিল কিশোর। সব রকম সুযোগসুবিধা রয়েছে তাতে। অনেক দিন ধরেই সেই অ্যাকাউন্টের আইডি হাতানোর তালে ছিল ওই কিশোরের বন্ধুরা। শেষমেশ আইডি-টি কব্জাও করে তারা। শুধু তা-ই নয়, ওই অ্যাকাউন্টে কয়েক হাজার টাকাও ছিল। সেই টাকাও হাতিয়ে নেয় বন্ধুরা। তা নিয়ে বিবাদের জেরে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার ওই কিশোরকে খুন করা হয়েছে বলে আপাতত প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই মৃত কিশোরের চার নাবালক বন্ধুকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে বাইকের পেট্রল দিয়ে কিশোরের দেহ পুড়িয়েও দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ফরাক্কার গঙ্গার ঘাটের পাশে একটি ফিডার ক্যানেলের ধার থেকে বছর ষোলোর কিশোর পাপাই দাসের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে নেমেই পাপাইয়ের মোবাইলটি খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। এর পরেই বুধবার সন্ধ্যায় তার চার সহপাঠীকে আটক করা হয়। পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘কিশোর খুনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। মোবাইল গেমিংয়ের একটি বিষয় সন্দেহের তালিকায় আছে। সন্দেহভাজন চার কিশোরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’
তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, পাপাই দীর্ঘ দিন ধরে মোবাইল গেমে আসক্ত। মূলত একটি অনলাইন গেম খেলত সে। অ্যাকাউন্টটি অনেক পুরনো। আটক হওয়া চার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, পাপাইয়ের অ্যাকাউন্টের উপর অনেক দিন ধরেই তাদের নজর ছিল। অ্যাকাউন্ট টাকা খরচ করে বানানো হওয়ায় সেটি হাতানোর পরিকল্পনা করে তারা। সেই মতো অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে তাতে যা টাকা ছিল, তা-ও তুলে নেয়। পাপাই ওই অ্যাকাউন্ট আর টাকা ফেরত চাওয়ায় তাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ওই চার বন্ধুর বিরুদ্ধে।
পুলিশ আধিকারিকদের একাংশের অনুমান, গত ৮ জানুয়ারি পিকনিকের নামে পাপাইকে ডেকে এনে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়। তার পর বাইকের পেট্রল গায়ে ঢেলে পোড়ানোর চেষ্টা করা হয় প্রমাণ লোপাট করতে। ওই দিন পাপাই বাড়ি না ফেরায় পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছিল। তার পরেই মঙ্গলবার তার দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের মা পূর্ণিমা বলেন, ‘‘গত ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ছেলে। বলল, পিকনিক করতে যাব। তার পরে আর ঘরে ফেরেনি। বাড়ির লোকেরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছে। কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি। শেষে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় ফরাক্কা থানায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy