নিজস্ব চিত্র।
মাঝেরহাটে ভাঙা ব্রিজের পাশ দিয়ে অস্থায়ী রাস্তায় যাতায়াত করছিলেন নিত্যযাত্রীরা। শনিবার রাতে হঠাৎ সেখানে পাঁচিল তুলে দেয় রেল। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। শনিবার সকালেও বহু মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেছেন। কিন্তু, রাতেই ওই রাস্তার উপরে পাঁচিল তুলে দেয় রেল। যাঁরা ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন, তাঁদের চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। ওই কাজের জায়গায় রেলের তরফে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবিতে রাতেই তাঁদেরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন যাত্রীরা।
রাজ্য সরকারের তরফে হাঁটা পথের জন্য ওই বিকল্প রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। তারাতলার দিক থেকে মাঝেরহাটের ভাঙা ব্রিজের পাশ দিয়ে রেল লাইনের উপর দিয়ে যাতায়াত করছিলেন বহু মানুষ।
রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ভাবে রেল লাইনের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করা যায় না। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবেই ওই রাস্তার উপরে পাঁচিল তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই রাস্তায় সাধারণের যাতায়াতের জন্যে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেও রেলের দাবি। পূর্ব রেলের মুখ্য জনংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, “প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রেললাইনের উপর দিয়ে রাস্তা পারাপারের অনুমতি দেওয়া যায় না। নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন: বিকল্প পথ চালু হলেও মাথাব্যথা সেই যানজট
মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয়ের পর দু’টি বিকল্প রাস্তার পরিকল্পনা ছিল রাজ্য সরকারের। সেই মতো পূর্ত দফতর দু’টি রাস্তার কাজও শুরু করে দিয়েছিল। একটি তারাতলার দিক থেকে মাঝেরহাট ব্রিজের পাশ দিয়ে আলিপুরের দিকে। অন্যটি, নিউ আলিপুরের হুমায়ুন কবীর সরণির দিক থেকে আলিপুরের দিকে।
দেখুন সেই পাঁচিল তোলার ভিডিয়ো:
হুমায়ুন কবীর সরণির দিক থেকে রাস্তার অনুমতি দিয়েছে রেল। ৩৮ দিনের মাথায় বেইলি ব্রিজ বসিয়ে ছোট গাড়িও চলাচল শুরু হয়ে গিয়েছে সেখানে।
আরও পড়ুন: মাথার উপর থেকে সরল নিম্নচাপের মেঘ, রোদ ঝলমল পঞ্চমীতেই খোলতাই পুজোর মেজাজ!
ব্রিজের পাশ দিয়ে যে রাস্তা হওয়ার কথা ছিল, তার অনুমতি মেলেনি। ফলে সেখান দিয়ে গাড়ি চলাচল না করিয়ে, পায়ে হেঁটে যাতে মানুষ দু’দিকে যাতায়াত করতে পারে, তার ব্যবস্থা করে পূর্ত দফতর। বেশ কিছু দিন ধরে এ ভাবেই যাতায়াত করতে অভ্যস্থ হয়ে পড়েন বহু মানুষ। হঠাৎ শনিবার রাতে ওই রাস্তায় পাঁচিল তুলে দেওয়া নতুন করে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।
কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy