বিক্ষোভে শিক্ষকেরা। বৃহস্পতিবার, হাওড়ায়। নিজস্ব চিত্র
নির্বাচনে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে পথে নামলেন হাওড়ার বামপন্থী কয়েকশো শিক্ষক। বিক্ষোভকারী শিক্ষকদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে রাজ্য পুলিশের দায়িত্বে থাকা সাড়ে আটশো বুথে যে ভাবে ভোট হয়েছে তাতে ভোটকর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। হাওড়ায় ভোটের দিন এমন ঘটনা ঘটতে পারে এই আশঙ্কায় প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সিপিএমের শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ ও এবিপিটিএর পক্ষ থেকে হাওড়া জেলা শাসকের কাছে এ দিন স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গত পঞ্চায়েত ভোটে রায়গঞ্জে ভোটকর্মী এক শিক্ষকের খণ্ডিত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে সামনে রেখে নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন বামপন্থী শিক্ষকেরা। এ দিন হাওড়ার বঙ্কিম সেতুর নীচে বুকে প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে জমায়েত হন এবিটিএর শিক্ষকেরা। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘গণতন্ত্রকে বাঁচাতে চাই, ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা চাই’, ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে, কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রতিটি বুথে রাখতে হবে’ ইত্যাদি। শিবশঙ্কর দে নামে এক শিক্ষক বলেন, ‘‘গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিক্ত অভিজ্ঞতার জন্য আমরা নিরাপত্তার দাবি করছি। আমরা আর কেউ রায়গঞ্জে খুন হওয়া রাজকুমার রায় হতে চাই না।’’
এ দিন বিক্ষোভকারী শিক্ষকেরা জানান, তাঁরা জানতে পেরেছেন কোচবিহারের ২০৭৩টি বুথের মধ্যে ৮৩৩ বুথে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ পাহারায় ছিল। ফলে সেখানে অবাধে ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হয়নি। এবিপিটিএর সভাপতি মহম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘‘ডিউটি করতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু যত দিন না আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে তত দিন আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে যাব। এ নিয়ে বামপন্থী শিক্ষকদের দাবি, তাঁদের সংগঠনের প্রায় ৪ হাজার শিক্ষককে আসন্ন নির্বাচনে হাওড়ায় ভোটকর্মী হিসেবে কাজের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের দাবি অবাধ সন্ত্রাসহীন নির্বাচন করার প্রতিশ্রুতি না পেলে বিক্ষোভ চলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy