নাকা চেকিংয়ে অডি গাড়িটিকে আটক করা হয়। নিজস্ব চিত্র।
লকডাউনের শহরে রাতভর বেপরোয়া ভাবে গাড়ি ছোটাচ্ছিলেন তিন বন্ধু। তার আগে ঘরোয়া পার্টিতে মদ্যপানও করেছিলেন। গভীর রাতে বাড়ি ফেরার সময় পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেলেন ওই তিন জন। দূতাবাসের নাম করে গাড়ির নম্বর ভাঁড়িয়ে ছিলেন বলে ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার রাতে মধ্য কলকাতার রাসেল স্ট্রিট এবং মিডিলটন স্ট্রিটের কাছে নাকা চেকিংয়ের সময় সাদা রঙের অডি গাড়িটিকে আটক করা হয়। দূর থেকে বেপরোয়া ভাবে গাড়িটিকে আসতে দেখেই সন্দেহ হয়েছিল ডিউটিরত পুলিশ কর্মীদের। আটক করার পর বোঝা যায়, সকলেই মত্ত অবস্থায় রয়েছেন।
ধরা পড়ার পর দক্ষিণ কোরিয়া কনসুলেটের লোক বলে নাম করে নিজেদের পরিচয় দেন তাঁরা। দাবি করেন, গাড়িটি কনসুলেটেরই। কিন্তু যথাযথ তথ্য-প্রমাণ দিতে না পারায় অভিযুক্ত বানদান আগরওয়াল, মনোজ আগরওয়াল এবং বরুণ হাদাকে গ্রেফতার করা হয়। এরা প্রত্যেকেই রডন স্ট্রিট এবং মিডিলটন স্ট্রিটের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যু
কোনও নথিপত্র না পাওয়া যাওয়ায়, ওই গাড়ির নম্বরটি ভুয়ো কি না, তার খোঁজ শুরু হয়। ধৃতদের জেরা করে তদন্তে দু’টি দিক উঠে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এক, ওই নম্বরের একটি গাড়ি কোরিয়ান কনসুলেটে ব্যবহার হত। কিন্তু সেই গাড়ির সঙ্গে ধৃতদের গাড়ির মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর পর ধৃতদের জেরা করে জানা যায়, নিজেদের গাড়ির নম্বর প্লেট খুলে, ওই নম্বরের প্লেট তৈরি করে গাড়িতে লাগিয়েছিলেন তাঁরা।
পুলিশের আর একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, যে গাড়িটি ধরা পড়েছে, সেটি ২০১৯ সাল পর্যন্ত কনসুলেটে ব্যবহার হয়েছে। কিন্তু তার পরে আর তা ব্যবহার হয়নি। কবে থেকে এই নম্বর প্লেট ব্যবহার হচ্ছে? কনসুলেটের সঙ্গেই বা তার কী যোগ রয়েছে? গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ধৃতদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, লকডাউন অমান্য করা, ট্রাফিক আইন-সহ বেশ কিছু ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যাদবপুরের রান্নাঘরে রেঁধে শ্রম দিতে চান চা-দোকানি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy