প্রতীকী চিত্র।
কলকাতায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পুরভোট নিশ্চিত করার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের কাছে ফের দাবি জানাল বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বাধাহীন নির্বাচনের যেমন আশ্বাসই দেওয়া হোক না কেন, স্থানীয় স্তরে ভয় দেখানো বা হুমকির ঘটনা ঘটেই চলেছে। প্রচারের সামগ্রী নষ্ট করাও চলছে। ভোটারেরা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে যাওয়ার পরিবেশ পান, তার জন্য আগাম তৎপর হতে কমিশন ও পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছে দুই বিরোধী পক্ষই। শাসক দল তৃণমূল অবশ্য বিরোধীদের পাল্টা কটাক্ষ করেছে।
বামফ্রন্টের একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার কমিশনে গিয়ে বেশ কিছু ওয়ার্ডের এলাকা উল্লেখ করে অভিযোগ জানিয়েছে, দুষ্কৃতী বাহিনী তাদের ‘কাজ’ শুরু করে দিয়েছে। ফোনেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে অনেক জায়গায়। কলকাতা হাই কোর্ট যে হেতু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করার দায়িত্ব কমিশনের উপরেই ছেড়েছে, তাই তাদের উপযুক্ত পদক্ষেপ দাবি করেছেন বাম নেতারা। পাশাপাশিই, বিরোধীদের দাবি ছিল, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ভোটারকেই বুথে এজেন্ট হওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। নির্দিষ্ট পার্ট নম্বর ধরে নয়। আদালত ওয়ার্ড থেকে এজেন্ট করার সুযোগ দেওয়ার কথা বলায় কমিশন যাতে এই মর্মে দ্রুত নির্দেশিকা জারি করে, সেই দাবিও বাম নেতারা এ দিন জানিয়েছেন। প্রতিনিধিদলে ছিলেন সিপিএমের রবীন দেব, শমীক লাহিড়ী, সিপিআইয়ের প্রবীর দেব, আরএসপি-র দেবাশিস মুখোপাধ্যায়েরা।
এলাকাভিত্তিক অভিযোগ নিয়ে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনারের (অপরাধ) কাছেও গিয়েছিলেন নেতারা। যেমন, ভাঙড় থেকে আসা বাহিনী কিছু এলাকায় ভয় দেখাচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ। স্থানীয় থানাকে নির্দেশ দিয়ে ওই সব এলাকায় স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখার ব্যবস্থা করার জন্য পুলিশ-কর্তার কাছে দাবি জানিয়ছেন বাম নেতারা। একই ভাবে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়ে বিবাদী বাগ এলাকার কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠকের নির্বাচনী এজেন্ট অমিতাভ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, হাওড়া থেকে দুষ্কৃতী বাহিনী এসে গোলমাল পাকাতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। বিগত পুরভোটে রাজভবনের অদূরে সেন্ট জন্স চার্চের সামনে বোমা পড়েছিল। এ বারও ভয় দেখানো শুরু হয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বলেছেন তিনি জীবিত থাকতে বাংলার সভ্যতা রক্ষা করবেন, সেই মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে পুলিশকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অবশ্য মন্তব্য করেছেন, ‘‘নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগেও বিরোধীদের এই সব বক্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, তারা হালে পানি পাচ্ছে না! মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে আছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy