রাজ্যে পথ দুর্ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনতে রাস্তা নির্দিষ্ট করে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করায় জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। খুব তাড়াতাড়ি এ নিয়ে পাইলট প্রকল্পের কাজ শুরু করবে সরকার। শনিবার নিউ টাউনে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল মোটর ভেহিক্ল টেকনিক্যাল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর ৫০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এ কথা জানান রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
খড়্গপুর আইআইটি-র পরিবহণ সংক্রান্ত বিভাগের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ভার্গব মৈত্রের পরামর্শ নিয়ে ওই কাজ করা হচ্ছে বলে খবর। পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, কলকাতায় ই এম বাইপাস ছাড়াও সারা রাজ্যের ছ’টি রাস্তাকে ওই প্রকল্পের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সব রাস্তার বৈশিষ্ট্য, স্থানীয় জনঘনত্ব এবং যানবাহনের সংখ্যা হিসাব করে ওই পরিকল্পনা করা হবে। রাস্তার বিভিন্ন অংশের বৈশিষ্ট্য খতিয়ে দেখে সেই অনুযায়ী গতি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। এ জন্য বিভিন্ন দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় সঙ্কেতের ব্যবস্থা করা হবে।
এ দিন ভার্গব জানান, পথ দুর্ঘটনার বেশির ভাগই ঘটে বেপরোয়া গতির কারণে। দুর্ঘটনায় মৃতদের দুই তৃতীয়াংশ পথচারী অথবা দু’চাকার যানের চালক। মূলত, তাঁদের সুরক্ষিত করতেই ওই উদ্যোগ। এ দিন ওই সভায় মন্ত্রী এবং অন্যান্য অভ্যাগতদের স্বাগত জানান সংগঠনের সভাপতি বিপ্লব প্রধান এবং সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)