লালবাজার। — ফাইল চিত্র।
রাস্তাঘাটে নজরদারির পাশাপাশি এ বার সমাজমাধ্যমেও নজরদারি চালাতে বিশেষ সেল বা দল গঠন করছে লালবাজার। মূলত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই বুধবার কলকাতার নগরপাল ১২ জন সদস্যের ওই ‘সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ সেল গঠন করেছেন, যেটির নেতৃত্ব দেবেন কলকাতা পুলিশের উপ-নগরপাল (সাইবার অপরাধ)। তবে, ওই সেলের ইন-চার্জ করা হয়েছে এক সহকারী নগরপালকে। প্রধানত সাইবার থানা এবং এসটিএফের অফিসার ও কর্মীদের নিয়ে গঠিত এই সেল দিন-রাত কাজ করবে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত। কলকাতা পুলিশের সাইবার থানা থেকেই কাজ করবে ওই সেল। উল্লেখ্য, কলকাতা পুলিশের আগে থেকেই পৃথক একটি সমাজমাধ্যম সেল রয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ভোটের বাজারে ভুয়ো ও ভুল খবর, বিতর্কিত বা উস্কানিমূলক বক্তৃতা, আপত্তিকর বিষয়বস্তু, রাজনৈতিক এবং সাম্প্রদায়িক দিক থেকে স্পর্শকাতর ছবি বা পোস্ট যাতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, তার জন্যই সে সবের উপরে নজরদারি চালাবে ওই সেল। প্রয়োজনে সমাজমাধ্যম থেকে কোনও পোস্ট সরিয়ে দেওয়ার জন্য নোটিস জারি করবে তারা, সেই সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থাও নেবে। সেই সঙ্গে টুইটার বা ফেসবুকের মতো সংশ্লিষ্ট সংস্থাকেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হবে।
সমাজমাধ্যমে রাজনৈতিক ভুয়ো খবরের রমরমা নতুন বিষয় নয়। ফেসবুক, টুইটার বা ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মে প্রচার চালানোর জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নিজস্ব আইটি সেল-ও রয়েছে। অভিযোগ, অনেক সময়ে এই সমস্ত আইটি সেলের মাধ্যমেই ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয় পরিকল্পনা করে। এ ছাড়াও, সমাজমাধ্যমে এমন একাধিক পেজ রয়েছে, যেখান থেকে ভুয়ো খবরের সঙ্গে উস্কানিমূলক বক্তৃতা ছড়িয়ে দেওয়া হয়, কখনও ধর্ম, কখনও বা রাজনীতিকে হাতিয়ার করে। অভিযোগ, ভোটের সময়ে তা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। সেই কারণে এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশকে রাস্তাঘাটের পাশাপাশি সমাজমাধ্যমেও নজরদারি চালাতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন। তারাই ওই বিশেষ সেল তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিল।
লালবাজার জানিয়েছে, ওই সেল সমাজমাধ্যমের সব রকম তথ্য খতিয়ে দেখবে এবং প্রতিদিনের রিপোর্ট নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেবে। সেই সঙ্গে ওই সেল কলকাতা পুলিশের প্রতিটি থানার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে এবং প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানাগুলিকে জানাবে। এমনকি, ভুয়ো খবরের রমরমা ঠেকাতে সমাজমাধ্যমেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ঠিক খবরটাও তুলে ধরা হবে।
এক পুলিশকর্তা জানান, ওই সেল সমাজমাধ্যমে নজরদারির পাশাপাশি যে সমস্ত প্রোফাইল ভুয়ো খবর এবং উস্কানি ছড়ানোর জন্য কুখ্যাত, সেগুলির উপরে বেশি করে নজর রাখবে। এই ধরনের পোস্ট সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সাইবার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy