দিন-রাত রিল তৈরি করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করতেন স্ত্রী রবিনা। সঙ্গী ছিল আর এক যুবক সুরেশ। সেই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্যদিন অশান্তি লেগেই থাকত বলে অভিযোগ। সঙ্গী-যুবকের সঙ্গে স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতা ভাল চোখে দেখেননি ৩৫ বছরের প্রবীণ। গত ২৫ মার্চ হাতেনাতে দু’জনকে ধরে ফেলেন তিনি। অভিযোগ, সে কারণে স্বামীর গলায় ওড়না জড়িয়ে খুন করেন রবিনা। তার পরে দেহ ফেলে দেন নালায়। হরিয়ানার ভিওয়ানির ঘটনা। তিন দিন পরে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত রবিনা এবং তাঁর প্রেমিককেও গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা জেরায় দোষ স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
প্রবীণের বাড়ি ভিওয়ানিতে। তাঁর এবং রবিনার ছয় বছরের এক পুত্রসন্তান রয়েছে। রবিনা ভিডিয়ো, রিল তৈরি করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করতেন। ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। ইউটিউবে রবিনার অনুগামীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। পারিবারিক বিষয় নিয়ে মজার ভিডিয়ো পোস্ট করতেন তিনি। স্বামী প্রবীণের অভিযোগ ছিল, পারিবারিক ভিডিয়ো তৈরি করতে গিয়ে পরিবার থেকেই দূরে সরে গিয়েছিলেন তিনি। সেই নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবীণের সন্দেহ ছিল, সুরেশের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন:
পুলিশ অভিযুক্তদের জেরা করে জেনেছে, মার্চের শেষে শহরের বাইরে শ্যুট করতে গিয়েছিলেন রবিনা। ২৫ মার্চ ফিরে এসে নিজের ঘরে সুরেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ছিলেন। সে সময় ঘরে ঢুকে তাঁদের দেখে ফেলেন প্রবীণ। সেই সূত্র ধরে বিবাদ হয় তিন জনের। পুলিশ জানিয়েছে, বিবাদের সময় প্রবীণের গলায় নিজের ওড়না জড়িয়ে খুন করেন স্ত্রী। তার পরে গোটা বিষয়টি রবিনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। আত্মীয়েরা তাঁকে প্রবীণের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি এড়িয়ে যান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে বাইক নিয়ে আসেন সুরেশ। বাইকের পিছনের আসনে বসেন রবিনা। মাঝে প্রবীণের দেহ বসিয়ে ছ’ কিলোমিটার দূরে একটি নালায় গিয়ে ফেলে আসেন দেহ। এলকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। তাতে দেখা গিয়েছে, ২৬ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার সময় বাইকে চেপে তিন জন যাচ্ছেন। বাইকটি যখন ফিরছে, তখন তাতে সওয়ার দু’জন। তিন দিন পরে নালা থেকে প্রবীণের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার পরেই রবিনাকে আটক করে জেরা করতে প্রকাশ্যে আসে ঘটনা।