প্রতীকী ছবি।
আবার কাঠগড়ায় কলকাতার অটোচালক। রবিবার রাতে ঢাকুরিয়া এলাকায় গড়িয়াহাট-গোল পার্ক রুটের একটি অটোয় শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন এক তরুণী। চালকের সঙ্গে সঙ্গে চার সহযাত্রীর দিকেও আঙুল তুলেছেন তিনি। ওই তরুণী অভিযোগে জানান, চালক ও সহযাত্রীদের আচরণে ভয় পেয়ে চলন্ত অটো থেকে ঝাঁপ দেন তিনি।
পুলিশের কাছে ওই তরুণীর অভিযোগ, রবিবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিট নাগাদ তিনি মধুসূদন মঞ্চের সামনে থেকে একটি অটোয় উঠেছিলেন। অটোর পিছনে তিন জন যাত্রী ছিলেন। তিনি চালকের বাম পাশে বসেন। আইন ভেঙে অটোচালকের ডান দিকেও এক যাত্রী তোলা হয়েছিল। অটোয় ওঠার পরে পিছন থেকে তাঁর শরীরে নানা ভাবে কয়েকটি হাতের স্পর্শ পান ওই তরুণী। চালকের ডান পাশে থাকা যাত্রীও তাঁর শরীরের পিছনে বারবার হাত দিচ্ছিলেন বলে তরুণী পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন।
তরুণীর অভিযোগ, তিনি অটো থামাতে বলা সত্ত্বেও চালক তাতে কান দেননি। তিনি প্রচণ্ড ভয় পেয়ে যান। এক সময় নিরুপায় হয়ে সেলিমপুরের কাছে চলন্ত অটো থেকে ঝাঁপ দেন। অটোটি পালিয়ে যায়।
রাতে একা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের না-করে পরের দিন অর্থাৎ সোমবার ওই তরুণী লেক থানায় গিয়ে চালক এবং চার সহযাত্রীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমেছে। এক পুলিশকর্তা জানান, ঘটনার আকস্মিকতায় ওই তরুণী এতটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন যে, অটোরিকশার নম্বর দেখে উঠতে পারেননি। তাই তদন্তে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। ওই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অটোটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। সে-রাতে ওই রুটের কোন কোন অটো সেই সময়ে চলাচল করছিল, তার খোঁজ চলছে।
এর আগে অনেক রুটে বহু অটোচালকের বিরুদ্ধে, এমনকি কোনও কোনও যাত্রীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা বা অভব্যতার অভিযোগ উঠলেও এ ভাবে একসঙ্গে চালক-সহযাত্রীদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠেনি। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি ওই অটোর চালক এবং যাত্রীরা তরুণীর পূর্বপরিচিত?
পুলিশ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে তারা।
বছরখানেক আগে ওই রুটেরই একটি অটোয় এক স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy