যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল। —নিজস্ব চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রকে বিবস্ত্র করে হস্টেলের বারান্দায় ঘোরানো হয়েছিল— এই প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার লালবাজার সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় র্যাগিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় যে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের সকলেরই ভূমিকা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ধৃতদের বিরুদ্ধে র্যাগিং বিরোধী আইনের ধারা যুক্ত করার কথাও জানিয়েছে পুলিশ। অন্য দিকে, ৯ অগস্ট রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানতে মঙ্গলবার হস্টেলের রাঁধুনিকে লালবাজারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।
লালবাজার সূত্রে খবর, হস্টেলের ৭০ নম্বর ঘরে ওই ছাত্রকে বিবস্ত্র করানো হয়েছিল। তার পর তাঁকে বারান্দায় বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয়। কী ভাবে র্যাগিং হয়েছে, তার নথি মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে জমা করেছে পুলিশ। ধৃত সৌরভ চৌধুরী, মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্তকে আদালতে হাজির করানো হয়েছে। আদালতে সরকারি কৌঁসুলি জানান, চার জনকে নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে একটি গ্রুপ তৈরি করেছিলেন সৌরভ। তাতে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘মা অসুস্থ হলে আমি আসি। না হলে হস্টেলে আসি না।’’ যাঁদের মেসেজ পাঠানো হয়েছিল, তাঁদের এক জনের মোবাইল থেকে পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। সরকারি কৌঁসুলির দাবি, পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই এই কথা লেখা হয়েছিল।
গত ৯ অগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে এক ছাত্র নীচে পড়ে যান। পরের দিন ভোরে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়। ছাত্রকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। র্যাগিংয়ের কারণেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রের পরিবার। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার পরই তদন্তে নেমে প্রাক্তনী এবং পড়ুয়া মিলিয়ে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার দিন হস্টেলে পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে আরও এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
হস্টেলের ৬৮ নম্বর ঘরে থাকতেন নদিয়ার বাসিন্দা ওই ছাত্র। হস্টেলের বারান্দার কোণ থেকে নীল রঙের হাফপ্যান্ট এবং গেঞ্জি উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ওই পোশাক মৃত ছাত্রের বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া। আলিপুর আদালতে সরকারি আইনজীবী সৌরীন ঘোষাল বলেছিলেন, ‘‘একটা অত্যাচারের গল্প পাচ্ছি।’’ যা ঘিরে র্যাগিংয়ের তত্ত্ব আরও জোরালো হয়।
যদিও র্যাগিংয়ের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে গত রবিবার দাবি করেছিলেন ধৃত সৌরভ চৌধুরী। মঙ্গলবার আদালতে ঢোকার মুখে সৌরভ আবার বলেছেন, ‘‘আমি অপরাধী নই। অপরাধী সাজানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy