— প্রতীকী চিত্র।
ঘন কুয়াশার জেরে বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার সকালেও কলকাতা বিমানবন্দরে উড়ান ওঠানামার প্রক্রিয়া ব্যাহত হল। এ দিন দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারের নীচে নেমে আসে বলে খবর। সকাল ৬টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে কলকাতামুখী আটটি উড়ান দেরিতে এসেছে বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে। সাতটি উড়ানকে ভুবনেশ্বর এবং রাঁচীর দিকে ঘুরিয়ে দিতে হয়েছে। চারটি উড়ানকে ফিরিয়ে আনতে হয়। কলকাতা থেকে ১৫টি উড়ান দেরিতে ছেড়েছে। সব মিলিয়ে সকালে ৩৪টি উড়ানের পরিষেবা ব্যাহত হয়। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর ৪টে থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বিভিন্ন দফায় ওই সমস্যা চলতে থাকে। বৃহস্পতিবার ৭২টি উড়ানের পরিষেবা ব্যাহত হয়েছিল।
এ দিন সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। উড়ান পরিবহণের ভাষায় ওই ব্যবস্থাকে ‘লো ভিজ়িবিলিটি প্রসিডিয়োর’ বা এল ভি পি বলা হয়। প্রথম দফায় ভোর ৪টে ২ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত ওই অবস্থা চলে। ওই অবস্থায় ৪টে ৯ মিনিট থেকে ভোর ৫টা ৪৯ মিনিট পর্যন্ত কলকাতাগামী একাধিক উড়ান পরিষেবা ব্যাহত হয়। পরের পর্বে ৬টা ৪৮ মিনিট থেকে সকাল ৮টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত ফের ওই ব্যবস্থা নিতে হয়। ওই সময়ে কলকাতা থেকে একাধিক বিমান সময় মতো উড়তে পারেনি।
তার মধ্যে একটি বেসরকারি উড়ান সংস্থার দিল্লি এবং বাগডোগরাগামী উড়ান শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয় বলে অভিযোগ। ওই উড়ানের যাত্রীদের বোর্ডিং পাসও দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। একেবারে শেষ মুহূর্তে উড়ান দু’টিকে র্যাম্পে ফিরিয়ে আনা হয়। ওই দুই উড়ান বাতিল করায় যাত্রীরা উড়ান সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। বিকল্প উড়ানের ব্যবস্থা না হওয়ায় ক্ষোভ তুঙ্গে ওঠে।
বিমানবন্দরে যন্ত্র নির্ভর অবতরণের ব্যবস্থা বা ইনস্ট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম থাকলেও এ দিন দৃশ্যমানতা অস্বাভাবিক কমে যায় বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy