বিএসএফের আইজি (উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার) সূর্যকান্ত শর্মা। —নিজস্ব চিত্র।
নাশকতার মতলবে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের ভারতে প্রবেশের গোয়েন্দা-তথ্য ছিলই। বেড়া দেওয়া ঘিরে সম্প্রতি তেতে উঠেছিল বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া কিছু এলাকা। কাঁটাতার কেটে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের ‘অনুপ্রবেশ’-এর চেষ্টা রুখতে গুলি চালাতে হয়েছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ)। একাধিক সীমান্ত এলাকায় ছড়িয়েছে ‘উস্কানিমূলক’ ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার)। এই আবহে প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সীমান্তে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের একটি সীমান্ত চৌকিতে রাত্রিযাপন করলেন বিএসএফের আইজি (উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার) সূর্যকান্ত শর্মা। বিএসএফের এক কর্তা জানান, ‘অপারেশনস্ অ্যালার্ট থাকার সময়ে এমন পরিদর্শন হয়। যে সব সীমান্তে উত্তেজনা, সেগুলিতে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। এটি নিয়মমাফিক পরিদর্শন। আইজি পরিদর্শন নিয়ে মুখে খোলেননি।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মেখলিগঞ্জের তিনবিঘা সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন আইজি। লাগোয়া সীমান্ত পরিদর্শন করেন। এর পরে, গোমতী সীমাচৌকিতে রাত্রিযাপন করেন। এ দিন সকালে শিলিগুড়ির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বাংলাদেশে অস্থিরতার আবহে বেড়েছে বিএসএফের নজরদারি। ২২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত দশ দিন ‘অপারেশনস্ অ্যালার্ট' জারি হয়েছে সীমান্তে। কয়েক দিন আগে তিনবিঘা সীমান্তে অস্থায়ী কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে বিজিবি সঙ্গে বিবাদ হয় ভারতীয় বাসিন্দাদের। পরে, বিএসএফের মধ্যস্থতায় দু’কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতরের বেড়া দেওয়া হয়।
এরই মধ্যে বিজিবি ৫৯ নম্বর ব্যাটালিয়নের কর্নেল পদমর্যাদার এক অফিসারের ভিডিয়ো (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাই করেনি) সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে। তাতে শোনা গিয়েছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনও ভারতীয়কে পেলে গুলি করে মারা হবে। তার প্রেক্ষিতে বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের এক কর্তা বলেন, “প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy