Advertisement
E-Paper

পাল্টেছে পাঠ্যক্রম, তৃতীয় সিমেস্টারের বই দ্রুত প্রকাশের দাবি

শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বাংলা ও ইংরেজি বই শিক্ষা দফতর থেকে বিনামূল্যে দেওয়া হয়। বাকি বিষয়ের বই কিনতে হয় পড়ুয়াদের।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:২৫
Share
Save

উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সিমেস্টারের পাঠ্যবই দ্রুত প্রকাশের দাবি তুললেন শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের মতে, প্রথম ও দ্বিতীয় সিমেস্টারের পাঠ্যবই প্রকাশিত হতে কিছুটা দেরি হওয়ায় স্কুলে পড়াতে গিয়ে সাময়িক ভাবে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছিলেন তাঁরা। কারণ, পাঠ্যক্রম পাল্টে যাওয়ায় প্রথম ও দ্বিতীয় সিমেস্টারের পাঠ্যবই তাঁদের কাছেও ছিল নতুন। অনেক পড়ুয়াও বই ঠিক সময়ে পায়নি বলে অভিযোগ করেছিল। প্রসঙ্গত, তৃতীয় ও চতুর্থ সিমেস্টার নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন হবে। তাই শিক্ষকদের মতে, তৃতীয় সিমেস্টারের বই প্রকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাঠ্যবই দ্রুত প্রকাশিত হলে তাঁদের ওই বই পড়ে পড়ুয়াদের বোঝাতে সুবিধা হবে। পাশাপাশি, কোনও পড়ুয়া যদি আগে থেকে তৃতীয় সিমেস্টারের বই কিনে পড়তে শুরু করতে চায়, তা হলে সে-ও দ্বিতীয় সিমেস্টার শেষ হলেই পরবর্তী সিমেস্টারের পড়া শুরু করতে পারবে।

শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বাংলা ও ইংরেজি বই শিক্ষা দফতর থেকে বিনামূল্যে দেওয়া হয়। বাকি বিষয়ের বই কিনতে হয় পড়ুয়াদের। বাংলা এবং ইংরেজির শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, এই দুই বিষয়ের পাঠ্যক্রমের বেশ কিছুটা অংশ গত বারের থেকে অনেকটা পাল্টেছে। তাই এই বই দ্রুত প্রকাশ হওয়া জরুরি। বাংলার এক শিক্ষিকা সুমনা সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘বাংলায় নতুন গল্প, কবিতা, নাটক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তৃতীয় সিমেস্টারে। সেই সব গল্প বা কবিতা পড়াতে গেলে আমাদের আগে থেকে বই পেলে সুবিধা হয়। দ্বিতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা এবং উচ্চ মাধ্যমিক প্রায় একই সময়ে হবে। উচ্চ মাধ্যমিকের পরে শিক্ষকেরা অনেকেই খাতা দেখায় ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। তাই দ্বিতীয় সিমেস্টার শেষ হওয়ার আগেই তৃতীয় সিমেস্টারের পাঠ্যবই প্রকাশিত হলে সুবিধা হবে।’’

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য অবশ্য জানান, তৃতীয় সিমেস্টারের বই প্রকাশকেরা সংসদে জমা দিতে শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘জমা পড়া বইগুলো রিভিউ কমিটির কাছে যাবে। বিশেষজ্ঞেরা বইগুলি দেখে ছাড়পত্র দিলেই সংসদের তরফে টিবি নম্বর (টেক্সট বুক নম্বর) দেওয়া শুরু হবে। তার পরে প্রকাশকেরা বই ছাপতে শুরু করতে পারবেন।’’

প্রকাশকদের একাংশেরও দাবি, তৃতীয় সিমেস্টারের বইয়ের দ্রুত ছাড়পত্র দিক সংসদ। কলেজ স্ট্রিটের এক পাঠ্যবই প্রকাশক দেবাঞ্জন মণ্ডল বলেন, ‘‘বই সংসদে জমা দেওয়া থেকে শুরু করে টিবি নম্বর পাওয়া পর্যন্ত গোটা প্রক্রিয়া বেশ সময়সাপেক্ষ হওয়ায় প্রথম সিমেস্টারের বই বেরোতে দেরি হয়েছিল। এ বারও প্রক্রিয়াটি ধীরে চলছে।’’ সংসদ-সভাপতির অবশ্য দাবি, তৃতীয় সিমেস্টারের বই প্রকাশে দেরি হবে না।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

West Bengal Board new syllabus Text Books School students

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}