১৪ অগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় এক দল দুষ্কৃতী। —ফাইল ছবি।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ভাঙচুরের ঘটনার তদন্তে এ বার বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করল লালবাজার। সেই দলে ১৫ জন সদস্য থাকবেন বলে খবর। থাকছে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার আধিকারিকরাও। আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩৭ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। বাকিদের নাগাল পাওয়ার চেষ্টায় তদন্তকারীরা।
আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল দেশ। দিকে দিকে চলছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। কর্মবিরতিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে গত ১৪ অগস্ট শহর জুড়ে মেয়েদের ‘রাত দখল’ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেই কর্মসূচি চলাকালীন এক দল দুষ্কৃতী আরজি কর হাসপাতালে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর করা হয়। যদিও ঘটনাস্থল অক্ষত রয়েছে বলে জানিয়েছিল পুলিশ। ঘটনায় আক্রান্ত হয় পুলিশ।
রাত পোহাতেই আরজি করে ভাঙচুরের তদন্তে কোমর বেঁধে নামে পুলিশ। শুরু হয় ভিডিয়ো দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজ। কলকাতা পুলিশের তরফে জড়িতদের সন্ধান চাই বলে সমাজমাধ্যমে পোস্টও করেছিল কলকাতা পুলিশ। পুলিশের দাবি, সমাজমাধ্যমের পোস্ট থেকে অনেক সাহায্য মিলেছে। বেশ কয়েক জন অভিযুক্ত সমাজমাধ্যমের সাহায্যে ধরা পড়েছে বলেও তাদের তরফে জানানো হয়েছে।
হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। পাল্টা ঘটনার দায় সিপিএম, বিজেপির মতো বিরোধী দলগুলির উপর চাপিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন, হামলাকারীদের হাতে বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা দেখা গিয়েছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতালের বাইরে ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা থাকলেও ভিতরে তার প্রমাণ মেলেনি। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কেও তলব করেছে লালবাজার।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আরজি করের চিকিৎসক খুনের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যায়। পরে সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই মামলা হাতে নেয়। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে আরজি করের ভাঙচুরের ঘটনার প্রসঙ্গ ওঠে। শুনানিতে আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনা নিয়েও উদ্বেগপ্রকাশ করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। উদ্বেগপ্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও। তিনি বলেন, “আমরা খুবই চিন্তিত। প্রতিবাদকারীদের বাধা দিতে বল প্রয়োগ করে রাজ্য। আমরা কিছুতেই বুঝতে পারছি না স্বাধীনতা দিবসের দিন রাজ্য কী ভাবে হাসপাতাল ভাঙচুর করতে দিল?” এর পরই আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy