তালিম: রাস্তায় টহল দিতে বেরোনোর আগে চলছে কলকাতা পুলিশের মহিলা বাইক বাহিনীর প্রশিক্ষণ। পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে। নিজস্ব চিত্র
শহরের রাস্তায় এ বার মোটরবাইকে চেপে আইনশৃঙ্খলা সামলাবে মহিলা পুলিশের টহলদার বাহিনী। রাস্তা, বাজার বা স্কুল-কলেজের সামনে মহিলারা যাতে ইভটিজিং বা যৌন হেনস্থার শিকার না হন, সে দিকে নজর থাকবে ওই বাহিনীর। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, সরকারি ভাবে নাম দেওয়া না হলেও ‘অ্যান্টি ইভটিজিং’ বা ‘রোমিও স্কোয়াড’ হিসেবেই কাজ করবে বাহিনী। এত দিন শুধু পুরুষ পুলিশকর্মীরাই বাইকে টহল দিতেন। মহিলা কর্মীরা গাড়িতে চেপে টহল দিতেন নির্দিষ্ট কিছু জায়গায়।
লালবাজার সূত্রে খবর, চলতি মাসেই রাস্তায় নামবে এই বাহিনী। আপাতত ৩০ জন রয়েছেন বাহিনীতে। তাঁরা প্রত্যেকেই মোটরবাইক চালানোয় পারদর্শী। কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) অপরাজিতা রাইয়ের অধীনে ওই বাহিনী কাজ করবে। বাহিনীতে মহিলা কনস্টেবল ছাড়াও থাকছেন দু’জন মহিলা সাব ইনস্পেক্টর এবং এক জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর। দু’ তিনটি মোটরবাইক নিয়ে দল বেঁধে টহলদারি চলবে। বাহিনীর সদস্যেরা সাদা উর্দি পরে থাকবেন।
লালবাজার সূত্রে খবর, গত মার্চে ৯৬৯ জন কনস্টেবল কলকাতা পুলিশে কাজে যোগ দিয়েছেন। এঁদের মধ্যে ৯১ জন মহিলা। বেশির ভাগই মোটরবাইক চালানোয় পারদর্শী। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে তাঁদের কয়েক জন এবং অন্য শাখায় কর্মরতদের নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই বাহিনী। তাঁদের প্রশিক্ষণ হয় কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে (পিটিএস)। সূত্রের খবর, প্রায় দেড় মাস চলেছে প্রশিক্ষণ। সোমবারই পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার পিটিএসে গিয়ে সদস্যদের পারদর্শিতার নমুনা দেখেন।
লালবাজার সূত্রে খবর, আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যায় মহিলারা জড়িত হলে পুরুষ পুলিশদের পক্ষে অনেক সময়েই তা সামাল দেওয়া সম্ভব হয় না। এমনকি, অনেক থানায় সব সময় মহিলা পুলিশকর্মীও থাকেন না। লালবাজারের এক কর্তা জানান, ওই সব সমস্যা কাটাতেই মহিলা বাইক বাহিনীকে কাজে লাগানো হবে। পরে বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানোও হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy