প্রতীকী ছবি।
চোর ধরতে দোকানে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছিলেন মালিক। কিন্তু চুরি হওয়ার পরে দেখা গেল, সেটিই খুলে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। সোমবার রাতে ইছাপুর স্টোরবাজারের ওই সোনার দোকান থেকে বহু লক্ষ টাকার গয়না চুরির অভিযোগ উঠল। একই সঙ্গে চুরি হয়েছে পাশে একটি ওষুধের দোকানেও। তদন্ত শুরু হলেও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে যে কায়দায় চুরি হয়েছে, তাতে আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা।
পুলিশ জানায়, যে দোকানটিতে চুরি হয়েছে, সেটি একটি বাড়ির একতলায়। মঙ্গলবার সকালে মালিক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় এসে দেখেন, দোকানের শাটার খোলা। ভিতরে সব লন্ডভন্ড। অভিজিৎবাবু আসার আগেই ওষুধের দোকানে চুরির কথাজানাজানি হয়ে যায়। স্থানীয়রাই নোয়াপাড়া থানায় খবর দেন।
অভিজিৎবাবু জানান, শাটার ভাঙা হয়নি। কায়দা করে বাঁকিয়ে খুলে ফেলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘দোকানে ঢুকে দেখি, সব তছনছ। একটি সিন্দুকে সব গয়না ছিল। সেই সিন্দুক ভাঙা। গয়না নেই।’’ অভিজিবাবুর কথায়, ‘‘এ সবের জন্য দোকানে চারটি ক্যামেরা বসিয়েছিলাম। তার একটি চোরেরা ভেঙেছে, বাকিগুলি খুলে নিয়ে গিয়েছে। তার চেয়েও আশ্চর্যের, ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক উধাও।’’
পুলিশের অনুমান, দোকানে যে ক্যামেরা বসানো হয়েছে তা জানত চোরেরা। সেই জন্যই তারা হার্ড ডিস্ক নিয়ে গিয়েছে, যাতে ফুটেজ না পাওয়া যায়। দুষ্কৃতীরা যে দীর্ঘ সময় ধরে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, সে সম্পর্কেও নিশ্চিত তদন্তকারীরা। কারণ, তারা পালানোর সময়ে দোকানের পিছনের রাস্তা ব্যবহার করেছে। ওই রাস্তার কথা জানতেন না মালিক অভিজিৎবাবুও। একটি বাড়ির উঠোনে গয়নার খালি বাক্স পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়েরা চুরির কথা জানতে পারেন।
পুলিশ জানিয়েছে, একটি ওষুধের দোকানের শাটারও একই কায়দায় বাঁকিয়ে খুলে নগদ ২৪ হাজার টাকা চুরি করে দুষ্কৃতীরা। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, চোরেরা ওই সব দোকানের বিভিন্ন তথ্য জোগাড় করে এসেছিল। এ-ও হতে পারে, তারা খদ্দের সেজে ওই তথ্য সংগ্রহ করেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীরা শীঘ্রই ধরা পড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy