অর্ধসমাপ্ত: এখন যে অবস্থায় স্কাইওয়াক। নিজস্ব চিত্র
আকাশপথের ‘তালা’ আজও খুলল না!
যদিও পরিকল্পনা হয়েছিল আজ, রবিবার বাংলার নববর্ষের দিনে আংশিক হলেও দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক চালু করে দেওয়া হবে। যার উপর দিয়ে দর্শনার্থীরা হেঁটে মন্দিরে পুজো দিতে যাবেন। কিন্তু খুঁটিনাটি বিভিন্ন কাজ বাকি থাকার জেরে এ বারেও পিছিয়ে গেল স্কাইওয়াক চালুর দিন। প্রশাসনের দাবি, জুন মাসেই খুলে দেওয়া হবে ওই স্কাইওয়াক।
জুন মাসের ২৮ তারিখ জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার দিনেই প্রতিষ্ঠা হয়েছিল দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের। তাই সে কথা মাথায় রেখে মন্দিরে আসার আকাশপথ ওই দিনেই উদ্বোধন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান প্রশাসনের এক কর্তা। স্কাইওয়াকের কাজের সঙ্গে যুক্ত এক কর্তার কথায়, ‘‘এত দিন যখন অপেক্ষা করা গিয়েছে, তখন আর দু’টি মাস সকলে অপেক্ষা করতে পারবেন। সব দিক খুঁটিয়ে দেখেই কাজ শেষ করা হবে। যাতে শুরুর পরে আর কোনও সমস্যা না হয়।’’
আকাশপথ না খোলায় বাংলা বছরের প্রথম দিনে দর্শনার্থী, ভক্ত ও পর্যটকদের মন্দিরে যাওয়ার জন্য নীচের রাস্তা খুলে দেওয়া হয়েছে। মন্দির সূত্রের খবর, লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হবে এ দিন। সেই মতো ব্যবস্থাও করেছে পুলিশ প্রশাসন। রাস্তার দু’পাশে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড।
ওই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, দক্ষিণেশ্বর স্টেশনের দিক থেকে স্কাইওয়াকে ওঠার জন্য একটি সিঁড়ি তৈরি হয়েছে। পাশে বসানো হয়েছে চলমান সিঁড়ি। কিন্তু তা দিয়ে উঠে কেউ মন্দিরের দিকে নামতে পারবেন না। কারণ মন্দিরের মূল গেটের সামনে নামার জন্য দু’টি চলমান সিঁড়ি বসানো হলেও কিছু কাজ বাকি।
তাই সেটি চালানো সম্ভব নয়। এ ছাড়াও স্কাইওয়াকে ওঠা-নামার জন্য আরও কয়েকটি সিঁড়ি, লিফট, চলমান সিঁড়ির কাজও শেষ হয়নি। দোকানগুলি সৌর্ন্দাযায়নের কাজও চলছে। বাকি রয়েছে আলো লাগানো। গম্বুজাকৃত ছাউনিতে পলিকার্বন শিটও লাগানো হয়নি।
তবে বাংলা নববর্ষে না হলেও, স্নানযাত্রার দিনকে স্কাইওয়াক চালুর পাখির চোখ করেছেন প্রশাসনের কর্তারা। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি ও সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেন, ‘‘সারা ভারতে এমন প্রকল্প নেই। মহালয়া থেকেই মন্দিরে ভিড় বাড়তে থাকে। তাই সময় নিয়ে সুষ্ঠুভাবে স্কাইওয়াক চালু হলে সমস্যা হবে না। স্নানযাত্রার দিনেই চালু করার লক্ষ্যেই এগোচ্ছে প্রশাসন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy