এ রকম লিফলেটের মাধ্যমেই চলে সচেতনতা প্রচার। নিজস্ব চিত্র
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধীদের গ্রেফতার বা ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণই ওঁদের পেশা। আর নেশা মোটরবাইক চালানো। তবে আর পাঁচ জন মোটরবাইক চালকের থেকে নেশাটা একটু ভিন্ন। বাইকে চেপেই সমাজের জন্য কিছু করতে ব্রতী তাঁরা।
ওঁরা কলকাতা পুলিশের ওয়্যারলেস বিভাগের সার্জেন্ট। অফিস থেকে ছুটি নিয়ে কয়েক জন মিলে মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়াই নেশা। যাত্রাপথেই কোথাও বিরতি নিয়ে মানুষকে সচেতন করেন তাঁরা।
সংস্থার সভাপতি, কলকাতা পুলিশের ওয়্যারলেস বিভাগের সার্জেন্ট গৌতম নাথের কথায়, ‘‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি পুলিশেরও একটি ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। নেশা মোটরবাইক হলেও তাকে অস্ত্র করেই মানুষের পাশেও দাঁড়াতে চাই।’’
গত বছর জুলাইয়ে তাঁরা জনা দশেক মিলে ঝাড়গ্রাম রওনা দিয়েছিলেন। পথ নিরাপত্তার স্বার্থে প্রথম বার তাঁদের থিম ছিল, ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ’। চলার পথের মাঝেই কোথাও কয়েক ঘণ্টা বিরতি নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতার বার্তা প্রসার করেছেন তারা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে গিয়েছিলেন পুরুলিয়া। দুঃস্থ শিশুদের পাশে দাঁড়াতে সে থিম ছিল ‘ডোন্ট ডাম্প, ডোনেট’ অর্থাৎ পুরনো জামা কাপড় না ফেলে দিয়ে দুঃস্থদের বিতরণ করা। সংস্থার সদস্য, কুন্তল দেবনাথ জানান, বর্তমানে দলে সদস্য রয়েছেন ৬০ জন।
সদস্যেরা জানান, আজ, সোমবার সোনারপুর থেকে বারো জন মিলে মোটরবাইকে চেপে সিকিমের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন। এ বারের থিম ‘শিশু নিগ্রহ’। এক সদস্য বললেন, ‘‘সিকিম যাওয়ার পথে মালদহ, শিলিগুড়ি ও পূর্ব সিকিমের দু’জায়গায় সচেতনতামূলক কর্মশালা হবে। শিশু শ্রম, শিশু নিগ্রহ ঠেকাতে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে তথ্যচিত্র দেখিয়ে বোঝানো হবে।’’ লালবাজারের এক কর্তার কথায়, ‘‘পুলিশের নিজস্ব কাজ ছাড়াও মানবিক দিক রয়েছে। ওঁরা যে কাজ করছেন তা প্রশংসনীয়। ওঁদের পুরস্কৃত করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy