Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

রহস্যভেদে পুলিশ যাবে আজমগড়ে

গত ২৯ মার্চ সকালে দেঙ্গায় দিদির বাড়ি ঘুরতে গিয়েছিল নয়াপট্টির বাসিন্দা বছর সতেরোর কিশোর অভিজিৎ দে। সন্ধ্যায় তার বাড়ি ফেরার কথা ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ০৫:১২
Share: Save:

দশ দিন ধরে নিখোঁজ থাকা কিশোরের খোঁজে এ বার উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে পাড়ি দিতে পারে দমদম থানার পুলিশ।

গত ২৯ মার্চ সকালে দেঙ্গায় দিদির বাড়ি ঘুরতে গিয়েছিল নয়াপট্টির বাসিন্দা বছর সতেরোর কিশোর অভিজিৎ দে। সন্ধ্যায় তার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। রাত সাড়ে নটা নাগাদ বাবা নিমাই দে-কে ফোনে ওই কিশোর জানিয়েছিল, নিমতলায় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে সে বাড়ি ফিরবে। কিন্তু রাতে ছেলে বাড়ি না ফেরায় দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নিমাই। যার প্রেক্ষিতে অপহরণের মামলা রুজু করে নাবালকের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

ওই কিশোর ঠিকা শ্রমিকের কাজ করত। তদন্তে নেমে অভিজিতের মোবাইলের কল রেকর্ড ঘেঁটে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার দিন সন্ধ্যা ছ’টার পরে নিখোঁজ কিশোরের
কাছে একটি নম্বর থেকে একাধিকবার ফোন এসেছিল। বাবার সঙ্গে অভিজিতের যখন শেষ কথা হয়, তখন তার মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান ছিল বেলগাছিয়া। ঘটনাচক্রে যে নম্বর থেকে কিশোরের মোবাইলে একাধিকবার ফোন এসেছিল তার অবস্থানও ছিল বেলগাছিয়ায়। পুলিশ সূত্রের খবর, বেলগাছিয়ার বাসিন্দা গুঞ্জন দাস নামে এক কিশোরের মোবাইল থেকে অভিজিতকে ফোনগুলি করা হয়েছিল। শনিবার গুঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, অভিজিতের সঙ্গে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন সঞ্জয় দাস নামে এক ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে। এখানে দক্ষিণদাঁড়িতে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তিনি। ঘটনার দিন তাঁর মোবাইল থেকে অভিজিতকে সঞ্জয় ফোন করেছিলেন বলে দাবি গুঞ্জনের।

ইতিমধ্যে অভিজিতের আইএমইআই নম্বরের অবস্থান দেখে পুলিশ জানতে পেরেছে, আজমগড়ে সেটি নতুন সিম ভরে ব্যবহার হচ্ছে। তাই অপহরণের মামলার রহস্যভেদে আজমগড়ে পাড়ি দিতে পারে পুলিশ। পাশাপাশি যে ঠিকাদারের কাছে অভিজিৎ কাজ করত, তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। সঞ্জয় এবং অভিজিতের সম্পর্ক কেমন, দু’জনের মধ্যে কোনও সমস্যা ছিল কি না, তা জানতে ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলতে চাইছে পুলিশ। গুঞ্জনের মোবাইল ব্যবহার করে কেন সঞ্জয় ফোন করেছিলেন তা-ও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Kolkata Police Azamgarh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE