Advertisement
০৮ নভেম্বর ২০২৪

সমাবেশ শেষ হতেই জোরকদমে সাফাই

ওই জঞ্জাল বেশি ক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেয়নি পুর প্রশাসন। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, সমাবেশ শেষ হওয়ার পরেই শুরু করতে হবে সাফাইয়ের কাজ। সেই মতো সাড়ে তিনটের মধ্যেই ধর্মতলা চত্বর জুড়ে কাজে নেমে পড়েন শ’চারেক সাফাইকর্মী। আর সেই কাজ কেমন হচ্ছে, তা দেখতে বেরোন খোদ মেয়র শোভনবাবু এবং জঞ্জাল দফতরের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার।

ঝাড়ু: সমাবেশের পরে ব্যস্ত পুরকর্মীরা। শুক্রবার ধর্মতলায়। নিজস্ব চিত্র

ঝাড়ু: সমাবেশের পরে ব্যস্ত পুরকর্মীরা। শুক্রবার ধর্মতলায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৭ ০২:০৯
Share: Save:

বিকেল তিনটে নাগাদ তৃণমূলের সভা শেষ হতেই দেখা গেল, ধর্মতলা চত্বরের নানা জায়গায় জমেছে প্রচুর পরিমাণ জঞ্জাল। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে থার্মোকলের থালা, প্লাস্টিকের কাপ ও প্যাকেট। কোথাও পড়ে খাবারের উচ্ছিষ্ট, জলের বোতল। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, লেনিন সরণি, এস এন ব্যানার্জি রোড থেকে শুরু করে জওহরলাল নেহরু রোড বা ডোরিনা ক্রসিং— সর্বত্রই ছড়ানো আবর্জনা। সব চেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল জওহরলাল নেহরু রোড ও এস এন ব্যানার্জি রোডের সংযোগস্থলের কাছে। সেখানে শিখদের একটি সংগঠন সমাবেশে আসা জনতাকে চা, সরবত ও খাবার খাওয়াচ্ছিলেন। তা পাওয়ার জন্য কয়েক হাজার মানুষ সেখানে হাজির। প্রচুর থালা, গ্লাস পড়তে থাকে ওই জয়গায়। এক সময়ে পুরসভার পক্ষ থেকে তা নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়।

তবে, ওই জঞ্জাল বেশি ক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেয়নি পুর প্রশাসন। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, সমাবেশ শেষ হওয়ার পরেই শুরু করতে হবে সাফাইয়ের কাজ। সেই মতো সাড়ে তিনটের মধ্যেই ধর্মতলা চত্বর জুড়ে কাজে নেমে পড়েন শ’চারেক সাফাইকর্মী। আর সেই কাজ কেমন হচ্ছে, তা দেখতে বেরোন খোদ মেয়র শোভনবাবু এবং জঞ্জাল দফতরের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার। শোভনবাবু বলেন, ‘‘ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সমাবেশ স্থলের আশপাশের রাস্তা থেকে জঞ্জাল তুলে নেওয়া হয়েছে।’’

দিন কয়েক আগে ভারী বৃষ্টিতে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। জল জমেছিল বহু রাস্তায়। কারণ হিসেবে সে দিন প্লাস্টিককেই দায়ী করেছিলেন মেয়র। তিনি হুমকি দেন, যে সমস্ত ব্যবসায়ী প্লাস্টিক ব্যবহার করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। মেয়র তাই সজাগ ছিলেন দলীয় সমাবেশের জেরে শহরে যাতে প্লাস্টিক জমতে না পারে। এর জন্য জঞ্জাল এবং পুরসভার পরিবেশ দফতরের মেয়র পারিষদদের সঙ্গে বৈঠক করে আগেভাগেই প্রস্তুত রেখেছিলেন পুরকর্মীদের।

মেয়র পারিষদ দেবব্রতবাবু জানান, সমাবেশ লাগোয়া প্রতিটি রাস্তার জঞ্জাল সাফাই করতে চারটি ভ্রাম্যমাণ কম্প্যাক্টর মেশিন রাখা হয়েছিল। সঙ্গে চারটি মেকানিক্যাল সুইপার। সমাবেশ শেষ হতেই সাফাইকর্মীরা রাস্তা থেকে প্লাস্টিক, থালা, কাপ, কাগজ তুলে গাড়িতে জমা করেন। তার পরে ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়। পরে সেই আবর্জনা জঞ্জাল দফতরের গাড়িতে তুলে ধাপার মাঠে পাঠানো হয় বলে মেয়র পারিষদ জানান।

এ দিন রাস্তা ছাড়াও ধর্মতলা চত্বরের কিছু মাঠে দুপুরের খাবার খেতে
দেখা যায় সমাবেশের লোকজনকে। তাতে অনেক মাঠেও জমেছিল জঞ্জাল। দেবব্রতবাবু জানান, রাস্তা সাফ করা হলেও মাঠগুলি শনিবার সকাল থেকে সাফ করা শুরু হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE