Advertisement
০৮ নভেম্বর ২০২৪
Doctor Death in Jhargram

সিরিঞ্জেই রহস্যভেদের চাবি! ঝাড়গ্রামে জুনিয়র ডাক্তার আত্মঘাতী বলেই ইঙ্গিত ময়নাতদন্তে

বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের একটি লজের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় চিকিৎসক দীপ্র ভট্টাচার্যের দেহ। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার ছিলেন তিনি।

ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক দীপ্র ভট্টাচার্য।

ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক দীপ্র ভট্টাচার্য। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৬
Share: Save:

ঝাড়গ্রামে চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যুর ঘটনাকে প্রাথমিক তদন্তের পর আত্মহত্যা বলেই মনে করছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে না এলেও, পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে ওই চিকিৎসকের দেহের পাশ থেকে ইঞ্জেকশন দেওয়ার একটি সিরিঞ্জ উদ্ধার হওয়ায় রহস্য ঘনীভূত হয়। ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সিরিঞ্জের মাধ্যমে শরীরে কিছু ঢোকানো হয়েছিল বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। আর তার জেরেই মৃত্যু হয় তাঁর।

শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন না-থাকায় তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই কাজ নিজেই করেছিলেন ওই চিকিৎসক। কারণ এটি খুনের ঘটনা হলে প্রতিরোধের চিহ্ন থাকত শরীরে। তা ছাড়া পেশাজীবনে অ্যানাস্থেটিস্ট হওয়ার কারণে কোন ওষুধ শরীরে কী প্রভাব ফেলতে পারে সে সম্পর্কে ওই চিকিৎসকের স্পষ্ট ধারণা ছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে সবিস্তারে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। দেহের নমুনা সংগ্রহ করে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “আর যাই হোক, এটি খুনের ঘটনা নয় বলেই মনে হচ্ছে।”

বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের রঘুনাথপুর এলাকার একটি লজের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় চিকিৎসক দীপ্র ভট্টাচার্যের দেহ। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি। আদতে বেহালার বাসিন্দা দীপ্র বৃহস্পতিবার সকালেই পুজোর ছুটি কাটিয়ে ঝাড়গ্রামে ফেরেন। তার পর থেকে পরিবারের সদস্যেরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। পুলিশ সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল যে, ব্যক্তিগত জীবনের নানা টানাপড়েনের কথা স্ত্রীকে মেসেজ করে জানিয়েছিলেন বছর বত্রিশের দীপ্র। সেখানে পুরনো স্মৃতি কাটিয়ে ওঠার আগে বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল না বলেও জানান তিনি।

মেসেজে এসেছিল আরজি করের ঘটনার প্রসঙ্গও। তিনি মেসেজে লেখেন, “নোংরা পৃথিবী, অবিচার, নোংরামি দেখেও অন্ধ হয়ে থাকে সবাই। এ ভাবে কি বেঁচে থাকা যায়? এ কোন দুনিয়ায় আমরা বাস করছি? ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না, জেগে থাকতে ইচ্ছে করে না, চারিদিকে শুধু অন্ধকার।” ময়নাতদন্তের পর রবিবার রাতেই দীপ্রের দেহ ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতার উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Jhargram doctor death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE