ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুরভবনকে কাগজের ভারমুক্ত (পেপারলেস অফিস) করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগেই। অন্তত বিভিন্ন সময়ের নির্দেশিকায় তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকায় ই-অফিসের কথা বলা হলেও তার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তেমন কোনও তোড়জোড় এত দিন চোখে পড়েনি। অন্য অনেক ঘোষণার মতোই ই-অফিসের ঘোষণা এবং তার বাস্তবায়নে বিস্তর ফারাক রয়ে গিয়েছে। কিন্তু এ বার সেই ফারাক মেটাতেই ফের উদ্যোগী হয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
পুরসভার যাবতীয় কাজকর্ম ই-অফিসের মাধ্যমে পরিচালনার জন্য সম্প্রতি একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তার মধ্যে মেয়র পরিষদের বৈঠকের আলোচ্য বিষয় (অ্যাজেন্ডা) যেমন না-ছাপানোর কথা বলা হয়েছে, তেমনই যে সব ফাইল ইতিমধ্যেই কম্পিউটারে আপলোড করা হয়ে গিয়েছে, সেগুলি অনাবশ্যক প্রিন্ট করার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এক পদস্থ পুরকর্তার কথায়, ‘‘এক দিকে ই-অফিসের কথা বলা হল, আবার একই সঙ্গে সেই ফাইল প্রিন্ট করা বা কাগজপত্রের উপরেই নির্ভর করা হলে তো ‘গো গ্রিন’ উদ্যোগেরই কোনও অর্থ থাকে না। তাই পরিবেশবান্ধব কর্মসংস্কৃতি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা হিসাবেই এই পদক্ষেপ।’’
যদিও এই পদক্ষেপ শেষ পর্যন্ত কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে পুর প্রশাসনের অন্দরেই। তার প্রধান কারণ, এত দিনের অভ্যাস বা কাগজ-নির্ভরতা। তাই পুর কর্তৃপক্ষের নির্দেশের পরেও দেখা যাচ্ছে, অনেক পুর দফতরই ই-ফাইল ডাউনলোড করে সেটি প্রিন্ট করছে। তার পরে সেই প্রিন্ট করা নথি আনা হচ্ছে আলোচনার জন্য। বিষয়টি নজরে পড়া মাত্র তাতে আপত্তি জানিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। এবং এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, যদি কোনও বিষয় নিয়ে পুর কমিশনার বা অন্য কোনও পুরকর্তার সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন হয়, তা হলে শুধু সেই সংক্রান্ত ফাইলের নম্বর নোট করে আনলেই হবে। পুরো ফাইল ডাউনলোড করে আনার দরকার নেই। নোট করা ফাইল নম্বরটি এসে বললে পুর কমিশনার বা সংশ্লিষ্ট পুরকর্তা তাঁর কম্পিউটার থেকে বিষয়টি দেখে নেবেন। তার পরে প্রয়োজন মতো আলোচনা হবে। এর জন্য ফাইল প্রিন্ট করার বিন্দুমাত্র প্রয়োজন নেই। মেয়র পরিষদের বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, চিরাচরিত ভাবে আলোচ্য বিষয়গুলি মেয়র পারিষদদের কাছে কাগজের ফাইলের আকারে না পাঠিয়ে তাঁদের নিজস্ব ইমেলে পাঠানো হবে। তার ভিত্তিতেই আলোচনা হবে। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘পুরসভার তথ্যপ্রযুক্তি দফতর এই বিষয়ে প্রয়োজন মতো প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy