পুলিশের এনফোর্সমেন্ট শাখার সহায়তা নিয়ে এ বার থেকে ভেজাল জলের কারবার বন্ধ করবে পুর প্রশাসন। বুধবারের পুর বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
সম্প্রতি শহরের বোতলবন্দি জলের কারখানাগুলিতে অভিযান চালায় পুরসভা। সংগৃহীত নমুনায় ধরা পড়ে ভেজাল জলের তথ্য। পুরসভার দাবি, যে সব সংস্থা তাদের কারখানায় ভেজাল বোতলবন্দি জল তৈরি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার খাদ্য সুরক্ষা দফতরের হাতে নেই। সেই সঙ্কটের সমাধানে বুধবার কলকাতা পুরসভায় রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট শাখার পদস্থ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ।
সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর এবং বাঘা যতীন এলাকায় আন্ত্রিকের প্রকোপ বাড়ায় পুরসভার সরবরাহ করা জলের সঙ্গে বোতলবন্দি জলের মান নিয়েও অভিযোগ ওঠে। জলের নমুনা পরীক্ষা করে দু’ক্ষেত্রেই কলিফর্ম ব্যাক্টিরিয়া মেলে। এর পরেই শহর জুড়ে বোতলবন্দি জলের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন পুরসভার ফুড সেফটি অফিসার এবং কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট শাখা। গত কয়েক দিনে প্রায় ৫৫টি জায়গা থেকে বোতলবন্দি জলের নমুনা সংগ্রহ করেন ফুড সেফটি অফিসারেরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জলের মান নিয়ে অভিযোগ মেলে। সেই সঙ্গে দেখা যায়, জল তৈরির বৈধ লাইসেন্স নেই কয়েকটি সংস্থার। সেই সংস্থাগুলিকে চিহ্নিত করা গেলেও, পুর আইনে তা বন্ধ করার ক্ষমতা নেই। সেখানে এসেই থমকে গিয়েছিল শাস্তিদানের প্রক্রিয়া।
এ দিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি (ইবি) বিজয় কুমার, অতিরিক্ত ডিজি গঙ্গেশ্বরপ্রসাদ সিংহ, ডিসি (ইবি) দেবাশিস সরকার প্রমুখ। এত দিন জলের কারখানাগুলিতে অভিযানের সময়ে ফুড সেফটি অফিসারেরা পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স, ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্টান্ডার্ড এবং ফুড সেফটি অ্যান্ড স্টান্ডার্ড অ্যাক্ট অব ইন্ডিয়ার অনুমোদন আছে কি না দেখতেন। এ দিন সিদ্ধান্ত হয়েছে, সংস্থাগুলির কাছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অনুমতি আছে কি না, এ বার থেকে সেটাও দেখা বাধ্যতামূলক। সে সব না থাকলে এনফোর্সমেন্ট শাখা ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭২ এবং ২৭৩ ধারায় কড়া ব্যবস্থা নেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy