ফাইল চিত্র।
জঞ্জাল, আবর্জনার পাশাপাশি কচুরিপানায় ভরে গিয়েছিল লেক গার্ডেন্সের কাছে বিক্রমগড়ের ঝিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ ছিল, ঝিলের বদ্ধ জলে মশা জন্মানোর ফলে আশপাশের এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর সেই অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়েই বিক্রমগড় ঝিল পরিষ্কার করার কাজ শুরু করল কলকাতা পুরসভা। ড্রেজিং মেশিন দিয়ে জঞ্জাল, কচুরিপানা, পলি তোলার কাজ চলছে সেখানে। তাতে ঝিলের জল এখন অনেকটাই পরিষ্কার হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, এক সময়ে ১৪ একর জায়গা জুড়ে থাকা ওই ঝিল বুজে গিয়ে ৮ একরে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সেই ঝিলও স্থানীয় মানুষের সচেতনতার অভাবে আবর্জনায় ভরে উঠেছিল। রীতিমতো মশার আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছিল ওই ঝিল। আস্তে আস্তে ঝিল ভরাট হয়ে যাওয়ার খবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানার পরেই সেটি পরিষ্কার করাতে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আর সেই নির্দেশ মতো জুলাইয়ের শেষে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, রাসবিহারীর বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, পুর-কমিশনার খলিল আহমেদ, মেয়র পারিষদ তথা ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রতন দে, ১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তপন বাবুকে নিয়ে একটি বৈঠক করেন। ঠিক হয় খুব তাড়াতাড়ি ওই ঝিলের সংস্কার করা হবে। কিন্তু কাজে নামলেও ঝিল সংলগ্ন কিছু গ্যারাজ এবং দোকানের জন্য কাজ প্রায় বন্ধ হতে বসেছিল। পুজোর পরেই ফের সেই কাজ শুরু হয়েছে। ওই ঝিলের জল পরিষ্কার করলে ৯৩, ৯৫, ৯৭, ৯৯ এবং বরো ১২-র ১১২ নম্বর ওয়ার্ডের ডেঙ্গির সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করছেন ওই ঝিলের আশপাশের বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy