বাতিল হল এই উড়ালপুলের নীচের জমিতে প্রস্তাবিত প্রকল্প। নিজস্ব চিত্র
জমি জটিলতার কারণে প্রকল্পই বাতিল করল কলকাতা পুরসভা।
পরিকল্পনা ছিল লেকগার্ডেন্স উড়ালপুলের নীচে ফাঁকা জমিতে পার্ক তৈরি করবে পুরসভার উদ্যান দফতর। সেই মতো পরিকল্পনাও করা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য পূর্ত দফতর পুরসভাকে ওই জমি হস্তান্তর না করায় প্রকল্পটি বাতিল করা হল।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘পুরসভা আইনত অন্যের জমিতে কোনও প্রকল্প করতে পারে না। যদি ওই জমি পূর্ত দফতর পুরসভাকে হস্তান্তর করত তা হলেই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা যেত। এ নিয়ে এখন আর কোনও ভাবনাচিন্তা নেই।’’
এক পুর আধিকারিক জানান, জমি জটিলতার কারণে এ বারই প্রথম প্রকল্প থেকে পিছিয়ে আসেনি পুরসভা। বছর দুয়েক আগেও দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণীতে একটি পরিত্যক্ত বেসরকারি জমিতে পার্ক তৈরি করতে গিয়ে আইনি সমস্যায় পিছিয়ে আসেন পুর কর্তৃপক্ষ।
লেক গার্ডেন্সের ওই এলাকা কলকাতা পুরসভার ৮৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারুচন্দ্র প্লেস ইস্ট রোডে অবস্থিত। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, ফাঁকা জমি ঘিরে পড়ে রয়েছে পুরনো মরচে ধরা রিকশা থেকে নানা অব্যবহৃত জিনিস। এক দিকে রাখা রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স। সে সবে জল জমে মশার বংশবিস্তারের অভিযোগও ওঠে। বাসিন্দাদের একটি অংশের অভিযোগ, বাতিল জিনিসের স্তূপ সরাতে পুরসভাকে বারবার বলেও কাজ হয়নি।
স্থানীয় কাউন্সিলর তৃণমূলের মমতা মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘এখানে পার্ক তৈরি করার জন্য পুরসভাকে জানিয়েছিলাম। পরিকল্পনাও হয়ে ছিল। জমিটিকে ঘিরে দিয়ে গাছ পুঁতলে এলাকার সৌন্দর্যায়ন ও পরিবেশ রক্ষা দুই-ই হত। পূর্ত দফতরকেও এই জমি পুরসভাকে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম। কোনও সাড়াই পাইনি।’’ এই অভিযোগ প্রসঙ্গে পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক জানান, ওই জমি রক্ষণাবেক্ষণ করে পূর্ত দফতর স্বয়ং। তবে তাদের এখানে কোনও প্রকল্প তৈরির বা জমি হস্তান্তরের পরিকল্পনা নেই।
পুরসভা সূত্রের খবর, লেক গার্ডেন্স উড়ালপুলের নীচে যে জমি, তার মূল মালিক কেএমডিএ। উড়ালপুল তৈরির সময়ে ওই জমি পূর্ত দফতরকে হস্তান্তর করা হয়। তার পরে ওই দফতর জমিটি কেএমডিএ-কে হস্তান্তর করেনি। পুরসভাকেও ব্যবহার করার অনুমতি দিল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy