বুধবার রাতে পুলিশি প্রহরায় আসুরা বিবিকে নাইট শেল্টারে নিয়ে আসা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ভয় দেখাচ্ছিলেন রাজকুমার সাউয়ের ছেলেরা। প্রায় ৪০ ঘন্টা ‘নিখোঁজ’ থাকার পর বুধবার রাতে টালা থানায় এমনটাই জানিয়েছেন আসুরা বিবি। সিঁথি থানায় পুলিশ হেফাজতে পাইকপাড়ার ব্যবসায়ী রাজকুমার সাউয়ের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে ফের নয়া মোড়!
গত সোমবার একটি চুরির তদন্তে নেমে সিঁথি থানার আধিকারিকরা প্রথমে ওই আসুরা বিবিকেই অভিযুক্ত হিসাবে থানায় জেরা শুরু করেন। পুলিশের দাবি, আসুরার বয়ানেই উঠে আসে রাজকুমারের নাম। পেশায় কাগজ কুড়ানি আসুরা রাজকুমারের পাইকপাড়ার বাড়ির উল্টোদিকেই পুরসভার একটি নাইট শেল্টারে থাকেন। পুলিশের দাবি, আসুরা তদন্তাকারীদের জানিয়েছিলেন যে তিনি চোরাই মাল রাজকুমারের দোকানে বিক্রি করেছিলেন। জেরার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল রাজকুমারকে।
ওই দিন অর্থাৎ সোমবার বিকেলে রাজকুমারের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হলে, সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসুরা দাবি করেছিলেন যে তিনি দেখেছেন পুলিশ রাজকুমারকে মারধর করেছে। সেই সূত্রে রাজকুমারের দুই ছেলে এবং আত্মীয়রা আসুরাকেই রাজকুমারের মৃত্যুর ঘটনায় অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে দাবি করেন।
আরও পড়ুন:‘ঘুঘুর বাসা’ ভাঙার ডাক মমতার, কটাক্ষ বিরোধীদের
আরও পড়ুন:চোরাই মালের তালিকা দিয়ে কিনে আনতে বলেছিল সিঁথি থানা! তদন্তে নতুন মোড়
কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকেই আচমকা পুরসভার নাইট শেল্টারের ডেরা থেকে উধাও হয়ে যান আসুরা। নাইট শেল্টারের নিরাপত্তা রক্ষী আব্দুল আজিজ মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন যে, ওই দিন সকালে ওষুধ কিনতে যাওয়ার কথা বলে নাইট শেল্টার থেকে বের হন আসুরা। নাইট শেল্টারেই রেখে যান পাঁচ ছেলে মেয়ের মধ্যে তিনজনকে। এর পর বুধবার রাত পর্যন্ত আর ওই নাইট শেল্টারে ফেরেননি তিনি।
আসুরা উধাও হয়ে যেতেই পুলিশকে দায়ী করেন রাজকুমারের পরিবার। বুধবার রাজকুমারের ভাই রাকেশ অভিযোগ করেন,‘‘আসুরা দেখেছিলেন আমার দাদাকে পুলিশ হেফাজতে মারধর করতে। আসুরা মূল সাক্ষী। তাই পুলিশই কোথাও সরিয়েছে তাঁকে।”যদিও পুলিশ পাল্টা জানায় যে আসুরা কোথায় রয়েছেন তার হদিশ নেই তাঁদের কাছে।
ঘটনার নাটকীয় মোড় ঘোরে বুধবার রাতে। পুলিশ জানতে পারে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ডেরা বেঁধেছেন আসুরা। তাঁর সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগ করে। পুলিশ সূত্রে খবর, আসুরা পুলিশকে জানান যে তিনি ভয়ে পালিয়ে এসেছেন। তাঁর অভিযোগ, রাজকুমারের ছেলেরা আসুরাকে ভয় দেখিয়ে বাধ্য করছেন তাঁদের কথা মতো বয়ান দিতে। রাজকুমারের পরিবারের ভয়েই তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন। তার পর বুধবার রাতেই এই মর্মে টালা থানায় একটি অভিযোগও জানান আসুরা। এর পরই পুলিশের পক্ষ থেকে মামলার অন্যতম সাক্ষী হিসাবে আসুরার জন্য পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। সূত্রের খবর, রাতেই হেফাজতে মৃত্যুর তদন্তের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা রাজকুমারের বাড়িতে যান। তাঁদের বৃহস্পতিবার লালবাজারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy