যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চিনের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং গবেষক বিনিময় হবে। এই বিষয়ে সম্প্রতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী চিনের ইউনান নরমাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাদবপুরে ইংরেজি এবং তুলানামূলক সাহিত্যে প্রতি বছর পিএইচডি করতে আসতে পারবেন ছ’জন পড়ুয়া। পাশাপাশি, যাদবপুর থকে ১০ জন পড়ুয়া ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান, কলা, প্রয়ুক্তির যে কোনো বিভাগে পড়তে পারবেন। তার জন্য মেধা বৃত্তি থাকবে।
শুধু ছাত্র বিনিময় নয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইউনান নরমাল এবং জিয়াংসু বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌর শক্তি গবেষণায় আদানপ্রদানও করা হবে। গত মাসে যাদবপুর থেকে এক প্রতিনিধি দল চিনের এই দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিল। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানালেন, জিয়াংসু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও ছাত্র-গবেষক বিনিময়ের কথা চলছে। পাশাপাশি কলকাতার চিনা কনস্যুলেটে যে চিনা ভাষা শেখার ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে যাদবপুরের পড়ুয়ারা সুলভে তা শিখতে পারবেন। এর আগে যাদবপুরে চিনা চলচ্চিত্রের উৎসব হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চায়না স্টাডি সেন্টারের আয়োজন করা সেমিনারে এসেছিলেন চিনের কনসাল জেনারেলও ।
উপাচার্য জানালেন, গত বছর চিনা ভাইস প্রেসিডেন্ট লি ইউয়ান চাও শহরে এলে তিনি যাদবপুর-সহ এখানকার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করেন। তখনই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চিনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আদানপ্রদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর পরে এই চুক্তি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী চিনে যাচ্ছেন। তার আগে রাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চিনের বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ খুবই সদর্থক। আশা করব মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পরে শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এই যোগাযোগ আরও বাড়বে।’’
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে প্রতিনিধি দল গিয়েছিল, তাতে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব এনার্জি স্টাডিজের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ। বিশ্বজিৎবাবু বললেন, ইয়াংসু বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ নিয়ে তাঁদের উপস্থাপনা খুবই প্রশংসা পেয়েছে। দুই বিশ্ববিদ্যালয় এই ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy