যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল চিত্র ।
সব পড়ুয়াকে একসঙ্গে নয়, বরং ধাপে ধাপে আনা হোক ক্যাম্পাসে। এমনটাই চাইছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (জুটা)।
ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে সোমবার বৈঠকে বসেছিলেন জুটা-র সদস্যেরা। সেই আলোচনায় উঠে আসে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব ছাত্রকে একসঙ্গে ক্যাম্পাসে আনা বাস্তবসম্মত হবে না। দূরত্ব-বিধি মানতে গেলে ধাপে ধাপে পড়ুয়াদের আনার ব্যবস্থা করা হোক। যে হেতু সব বিভাগের পরিকাঠামো সমান নয়, তাই কোন সিমেস্টারের পড়ুয়ারা আগে আসবেন, সেই বিষয়টি বিভাগগুলির হাতেই ছাড়া উচিত। তবে প্রথম সিমেস্টারের পড়ুয়াদের এখন আনা উচিত হবে না বলেই মনে করছেন জুটা-র
সদস্যেরা।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় এ দিন বলেন, ‘‘ল্যাবরেটরি ব্যবহারের জন্য অন্তর্বর্তী সিমেস্টারগুলির ছাত্রছাত্রীদের দু’-তিন সপ্তাহ আনা জরুরি। যে সব সিমেস্টারের পড়ুয়ারা আপাতত আসবেন না, তাঁদের জন্য অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। আমরা চাই, পরীক্ষা হোক অফলাইনে। বয়স্ক শিক্ষক যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবার কথা কর্তৃপক্ষকে জানাব।’’ এর সঙ্গে ক্লাস চালুর সময় থেকেই যাতে ক্যাম্পাসে কোয়রান্টিন কেন্দ্র চালু হয়, সেটিও তাঁরা কর্তৃপক্ষের নজরে আনবেন বলে জানান পার্থপ্রতিমবাবু। আগামী ১৬ নভেম্বর ক্যাম্পাস খোলা নিয়ে আলোচনা করতে আজ, মঙ্গলবার সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।
অন্য দিকে, ক্যাম্পাস খোলা নিয়ে এ দিন ডিএসও-র তরফে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ডিএসও-র কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক আবু সাঈদ জানান, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার অধীনস্থ কলেজগুলিতে ১৬ নভেম্বরের আগেই সব ইচ্ছুক পড়ুয়া, শিক্ষাকর্মী এবং শিক্ষককে বিনামূল্যে প্রতিষেধক দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে অবিলম্বে ক্যাম্পাস এবং হস্টেল স্যানিটাইজ় করা, হস্টেলগুলি দ্রুত খুলে দিয়ে দূরের পড়ুয়াদের থাকার সুব্যবস্থা করা এবং স্নাতকোত্তরের ভর্তি প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত করে সব বিভাগে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের ভর্তির দাবিও তুলছেন।
ক্যাম্পাস খোলা-সহ ১৫ দফা দাবিতে এ দিন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দেয় এসএফআই। তাদের অন্য দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে, যে সব পড়ুয়া এখনও প্রতিষেধক পাননি তাঁদের অবিলম্বে বিনামূল্যে তা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কোভিড-বিধি মেনে ক্যাম্পাস খুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার যাবতীয় বিষয় নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে কর্তৃপক্ষকে। এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অন্তত ১০টি কর্মদিবস আগে হস্টেল খোলার নির্দেশিকা-সহ হস্টেলে থাকার ফর্ম প্রকাশেরও দাবি জানিয়েছে এসএফআই। পাশাপাশি অবিলম্বে সিমেস্টারের পরীক্ষা সম্পর্কিত নির্দেশিকা প্রকাশ করা, অনলাইন থেকে অফলাইনে পঠনপাঠন চালু হলে পড়ুয়ারা যাতে অসুবিধার সম্মুখীন না হন তার জন্য প্রয়োজনে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার পরিবর্তন করে বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy