প্রথমে রজতের স্বাভাবিক মৃত্যু এবং পরে আত্মহত্যার তত্ত্ব হাজির করেছিলেন ধৃত অনিন্দিতা। —ফাইল চিত্র।
নিউ টাউনে আইনজীবী রজত দে-র মৃত্যু-রহস্যের কিনারা হয়নি এখনও। তবে বেশ কিছু নতুন সূত্র পেয়েছেন তদন্তকারীরা। আদালতে এমনটাই জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। সেই সূত্র ধরেই রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
ছ’দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পেয়ে ওই ঘটনায় ধৃত অনিন্দিতাকে জেরার কাজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, প্রথমে স্বাভাবিক মৃত্যু এবং পরে আত্মহত্যার তত্ত্ব হাজির করেছিলেন অনিন্দিতা। যদিও ময়না-তদন্তের রিপোর্টে রজতের শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন দেখে পুলিশের সন্দেহ বেড়েছে। তারা ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ। ইতিমধ্যে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য রজতের ঘরের একটি সিলিং ফ্যান পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই ফ্যানে চাদর পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন রজত, এমনটাই দাবি করেছিলেন অনিন্দিতা। সেই দাবি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সে কারণেই সিলিং ফ্যান নিয়ে ফরেন্সিকের রিপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তদন্তকারীদের একাংশ।
অনিন্দিতা বারবার বয়ান বদল করেছেন বলে অভিযোগ পুলিশের। যার জেরে তদন্তে ধোঁয়াশা কাটছে না। পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা মনে করছেন, অনিন্দিতার দাবির সূত্র ধরেই রহস্যের জট কাটতে পারে। সেই সঙ্গে ভিসেরা এবং ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেলে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীদের একাংশ। গ্রেফতারির পরে অনিন্দিতাকে আট দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে
রাখার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে পারেনি পুলিশ। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় নতুন নতুন সূত্র হাতে এসেছে। সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই পুনর্গঠন করতে চায় তারা।
পুলিশ সূত্রের খবর, রজতের মৃত্যু কী ভাবে ঘটেছে, সে সম্পর্কে ধাপে ধাপে একটি ধারণা তৈরি হলেও খুনের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। কারণ, ‘মোটিভ’ নিয়ে এখনও আঁধারে তদন্তকারীরা। দাম্পত্য কলহের বিষয়টি উঠে এলেও আরও কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy