দূষণ পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ছাড়পত্র নিয়েছিলেন এক গাড়ির মালিক। কিন্তু রাস্তায় পুলিশ গাড়ি পরীক্ষা করে জানায়, তা ওই ছাড়পত্র পাওয়ার যোগ্য নয়! পুলিশ ঠিক না দূষণ পরীক্ষা কেন্দ্র, বুঝতে পারছেন না ওই ব্যক্তি।
গাড়ির দূষণ নিয়ন্ত্রণ ছাড়পত্র নিয়ে এমন অভিজ্ঞতা অনেকেরই। আইন অনুযায়ী, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ছাড়পত্র ছাড়া রাস্তায় গাড়ি চলতে পারে না। কিন্তু ট্যাক্সি, বাস, ট্রাক যে ভাবে কালো ধোঁয়া ছড়াতে ছ়ড়াতে চলে, তাতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ ছাড়পত্র মেলে কী ভাবে, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও।
পরিবেশকর্মীদের অনেকের অভিযোগ, গাড়ির দূষণ পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির বেশিরভাগই যে ঠিক মতো কাজ করে না, বহু দিন ধরেই তা বলা হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের টনক নড়েনি। কলকাতার বায়ুদূষণ নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে দায়ের হওয়া মামলাতেও এই প্রসঙ্গ উঠেছিল। মামলার আবেদনকারী পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত জানান, দূষণ পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির উপরে নজরদারির জন্য অনলাইন ব্যবস্থা চালুর কথা বলে পরিবেশ আদালত। তা হয়নি। সুভাষবাবু বলেন, ‘‘দূষণ পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে পরিকাঠামো ও লোকবলের অভাব। সেটাই মূল কারণ।’’ দূষণ পরীক্ষা কেন্দ্রের মালিক সংগঠনের কর্তাদের দাবি, তাঁরা সরকারের অনুমোদিত যন্ত্রই ব্যবহার করেন। সে ক্ষেত্রে গাফিলতি হবে কী ভাবে? হলেই বা যন্ত্রের দায় কেন তাদের ঘাড়ে চাপবে?
সমস্যা মেনে নিয়ে পরিবেশ দফতরের কর্তাদের অনেকে বলছেন, দূষণ পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে উন্নত করা, নজরদারির আওতায় আনা প্রয়োজন। পরিবহণ কর্তাদের দাবি, সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে নজরদারি শুরু হয়েছে। যন্ত্র পরীক্ষকের চোখে গলদ ধরা পড়ে কি না, সেটাই এখন দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy